"এখন দুর্নীতিবাজরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছে; বিএনপির টপ টু বটম- সবাই দুর্নীতিবাজ,” বলেন তিনি।
Published : 14 Jun 2024, 03:04 PM
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় রিমান্ডে থাকা ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগর সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে এখনই অপরাধী না বলতে অনুরোধ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, "হত্যাকাণ্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততা, এটা কে বের করেছে? পুলিশ। পুলিশ কোন সরকারের; এটা কি বিএনপির আমলের পুলিশ? না শেখ হাসিনার আমলের পুলিশ? ডিবি ব্যাপারটা উদঘাটন করেছে। মামলা হওয়ার আগে এবং মামলার শাস্তি হওয়ার আগে নিয়ম অনুযায়ী কাউকে অপরাধী বলা যাবে না।
"ওই সৎ সাহস আওয়ামী লীগের আছে। জেলার জেনারেল সেক্রেটারি রিমান্ডে, এই রকম উদাহরণ তো বিএনপির আমলে, এরশাদের আমলে নেই। ছিল না।"
শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “মির্জা ফখরুল সংসদে যায়, তাহলে তারেকের ক্ষমতা সংকুচিত হয়ে যাবে- এ রকম একটা সাইকোলজি থেকে ফখরুলকে পার্লামেন্টে যাওয়া থেকে বিরত রেখেছে।
"বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভালো মানুষ সাজানোর জন্য মির্জা ফখরুল একটা বিবৃতি দিয়ে দিয়ে বসল। তিনি তাদের নির্বাচিত ছয়জনকে সংসদে পাঠালেন। এখন যদি ফখরুল সংসদে যায়, তাহলে তারেকের ক্ষমতা সংকুচিত হয়ে যাবে।”
তিনি বলেন, "ফখরুল নিজেই তো স্বাধীন নন । তার দলে কোনো পর্যায়ে কোনো সম্মেলন হয় না, অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা হয় না। তারেকে রহমান বিদেশে থাকলে বিএনপি স্বাধীন সত্তা নিয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে অস্তিত্বের প্রকাশ ঘটাতে পারবে, সেটা আমরা বিশ্বাস করি না।
"এখন দুর্নীতিবাজরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছে। বিএনপির টপ টু বটম- সবাই দুর্নীতিবাজ। এই দলের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া টপ টু বটম দুর্নীতির বরপুত্র।"
ওবায়দুল কাদের বলেন, "অস্ত্র মামলা, দুর্নীতির মামলায় তারেকের সাজা হয়েছে। তারেকের আর কত সাজা হবে? তার তো সাজা হয়েছে। শাস্তি হয়ে গেছে, এখন তাকে শাস্তি ভোগ করার ব্যবস্থা করতে হবে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সে কথাই বলেছেন। তো তাকে ভালো মানুষ সাজানোর চেষ্টা করার কোনো কারণ নেই।"
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, "বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা হঠাৎ করে এক কলমের খোঁচায় বাদ দিয়েছে। কারণ কী?
"কারণ হল যে ওই ৭ দফায় আছে- দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি বিএনপির কেউ নেতা হতে পারবে না। ওই ৭ ধারায় আছে যে দর্নীতিবাজ কোনো ব্যক্তি বিএনপির নেতা হতে পারবে না। ফখরুল তাকে (তারেক রহমান) ভালো মানুষ সাজাচ্ছেন, তাহলে ধারাগুলো বাদ দিলেন কেন?”
কাদেরবলেন, "বিএনপির আমলে কত সন্ত্রাসী ছিল? দুর্নীতিবাজ বেনজীরের জায়গায় কোহিনূর, আশফারুল হুদা-এইসব লোককে আইজিপি বানানো হয়েছিল। এদের দুর্নীতির গল্প শুনলে শিউরে উঠতে হয়। বিচার কি হয়েছে?
"বিএনপির নেতারা জনে জনে দুর্নীতি করেছিল, লুটপাট করেছিল। তার বিচার কি হয়েছিল? বিএনপি কি তাদের কোনো নেতার বিচার করার সৎ সাহস দেখাতে পেরেছে- যেটা শেখ হাসিনা করে দেখিয়েছেন।"
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম ও উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।