“বিগত নির্বাচনে পল্লীবন্ধুর নাম মুখে নেওয়া হয়নি; নির্বাচনি ইশতেহারে ছবিটা পর্যন্ত রাখা হয়নি,” বলেন তিনি।
Published : 14 Jul 2024, 11:34 PM
জাতীয় পার্টির পরিচয় দিয়েও ‘অনেকে’ এ দলের প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে মুছে ফেলতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন রওশন এরশাদ।
তিনি বলেছেন, “যিনি এদেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্র এবং সহাবস্থানের রাজনীতি প্রবর্তনের জন্য জাতীয় পার্টির মত একটি রাজনৈতিক সংগঠন উপহার দিয়েছেন। আজ তিনি আমাদের মধ্যে নেই। অথচ অনেকে আছেন যারা জাতীয় পার্টির পরিচয় দিয়েও পল্লীবন্ধুকে মুছে ফেলতে চাইছেন।
“বিগত নির্বাচনে পল্লীবন্ধুর নাম মুখে নেওয়া হয়নি। নির্বাচনি ইশতেহারে ছবিটা পর্যন্ত রাখা হয়নি। পল্লীবন্ধুকে ভালোবাসার মানুষেরা তা মানতে পারেনি। তাই যেখানে একক নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ১৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, সেখানে এবার মাত্র ৩ শতাংশ ভোট (জিএম কাদেরপন্থি জাতীয় পার্টি) পেয়েছে। তাও জাতীয় পার্টির ভোট নয়, ওটা ছিল সমঝোতার ভোট।”
ঢাকার কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে রোববার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় তিনি একথা বলেন।
মনোনয়ন নিয়ে মনোমালিন্যের কারণে এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি রওশন এরশাদপন্থি জাতীয় পার্টি। দলটির আরেক অংশ জিএম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।
রওশন বলেন, “আমরা পল্লীবন্ধুর নিজ হাতে গড়া জাতীয় পার্টিকে শেষ হয়ে যেতে দিতে পারি না। জাতীয় পার্টির মধ্যে কোনো দ্বিধা-বিভক্তি হতে দেব না। তাহলে পল্লীবন্ধুর আত্মা কষ্ট পাবে।
“আমরা সবাই পল্লীবন্ধু এরশাদের প্রবর্তিত শান্তি, সমৃদ্ধি, উন্নয়ন এবং ইতিবাচক ধারার রাজনীতি করতে চাই। পল্লীবন্ধুর নীতি ও আদর্শই আমাদের রাজনীতি। জাতীয় পার্টির পরিচয় দিয়ে সেই আদর্শকে কেউ মুছে ফেলার চেষ্টা করবেন না।”
নেতাকর্মীদে উদ্দেশে তিনি বলেন, “বিগত নির্বাচনের পর পার্টিতে চরম বিপর্যয় নেমে আসে। কর্মী-সমর্থকদের মন ভেঙে যায়। তাদের মধ্যে হতাশা নেমে আসে। সেই অবস্থায় এই নেতৃবৃন্দ আবার পার্টির হাল ধরেছেন। পার্টিকে চাঙ্গা করে তুলেছেন। আমি পার্টির যে কোনো দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছি। তাদের সাহস দিয়েছি, সংগঠিত রেখেছি। এবারও তাই করেছি।
“আপনারা কেউ হতাশ হবেন না। জাতীয় পার্টিকে আবার সুসংগঠিত করে পল্লীবন্ধুর স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করব। প্রিয় নেতার এই মৃত্যু বার্ষিকীতে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।”
স্মরণ সভায় জাতীয় পার্টির (রওশন) মহাসচিব কাজী মো. মামুনূর রশিদ, নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, কো-চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম সেন্টু উপস্থিত ছিলেন।