বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পাঁচ নেতার ‘হত্যাদিবস’ পালন করে জাসদ।
Published : 16 Feb 2025, 09:48 PM
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ২৬ বছর আগে গুলিতে নিহত দলের তৎকালীন সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদসহ পাঁচ নেতাকে স্মরণ করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।
১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ জনসভায় ওই পাঁচজন ‘দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের’ হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বলে রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করে দলটি।
সেদিনের হামলায় নিহত বাকি চারজন হলেন- কুষ্টিয়া জেলা জাসদের তৎকালীন সভাপতি লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, স্থানীয় জাসদ নেতা ইসরাইল হোসেন তপস ও শমসের মণ্ডল।
বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই পাঁচ নেতার ‘হত্যাদিবস’ পালনের তথ্য দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে কাজী আরেফ হত্যাদিবস উপলক্ষ্যে রোববার ভোর ৬টায় দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
মিরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে শহীদ কাজী আরেফ আহমেদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় সকাল ৯টায়। বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কর্নেল তাহের মিলনায়তনে হয় আলোচনাসভা।
জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য শরিফুল কবির স্বপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শওকত রায়হান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোহসীন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর্জা মো. আনোয়ারুল হক ও ছাত্রলীগ (বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র) কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আহমেদ।
বক্তাদের বরাতে কাজী আরেফের বিভিন্ন ‘রাজনৈতিক অবদানের’ কথা তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “দুর্ভাগ্যক্রমে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ ভাবাদর্শবিরোধী শক্তি ক্ষমতা দখল করে সাম্প্রদায়িক মবতান্ত্রিক শাসন কায়েম করেছে।”