বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে সিটি নির্বাচনে নিজ দলসমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।
Published : 14 Apr 2015, 06:06 PM
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর একটি কমিউনিটি সেন্টারের অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী বাহাউদ্দিন আহমেদ বাবুল ও দক্ষিণের প্রার্থী সাইফুদ্দিন মিলনের জন্য ভোট চান তিনি।
জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার আয়োজনে ওই অনুষ্ঠানে এরশাদ বলেন, “এটা আমাদের প্রথম সিটি নির্বাচন। জাতীয় পার্টি আবার ক্ষমতায় এলে উন্নয়নের জয়ধ্বনি উঠবে। এটা কোনো ব্যক্তির নির্বাচন নয়, পার্টির নির্বাচন।”
দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমাদের দলীয় প্রার্থী কারা? চেনেন? উত্তরে বাবুল, দক্ষিণে মিলন। আপনারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হোন, দলীয় প্রার্থীদের জয়ী করে আনবেন।”
দলের ঢাকা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র প্রার্থী বাহাউদ্দিন বাবুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখেই এবারের বৈশাখী আয়োজন করা হয়েছে।”
দশম জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত, যা মন্ত্রীর সমমর্যাদার।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী কোনো নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে প্রার্থীর কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করা, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী বা সমমর্যাদার ব্যক্তিদের প্রচারণায় অংশগ্রহণ করা যাবে না।
এবিষয়ে জাতীয় পার্টির নির্বাচনী প্রচার সেলের প্রধান এবং দলের চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক ও প্রেস সচিব সুনীল শুভ রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি। প্রতি বছরই জাতীয় পার্টি পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে, এবারও করেছে।
“পার্টির চেয়ারম্যান দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দুটি কথা বলেছেন…এই আর কি।”
এবিষয়ে ঢাকা দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করে নির্বাচনী প্রচার বিধিবহির্ভূত। তবে এখানে নির্বাচন কমিশনের সরাসরি কিছু করার নেই।
“কারণ, প্রার্থী নিজে কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করেননি। বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উদযাপনের ছলে প্রচারকাজ চালিয়েছেন। আর তিনি (এরশাদ) প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে না কি পার্টি চেয়ারম্যান হিসেবে কথা বলেছেন সেটাও বিবেচনা করতে হবে।”