নিষেধ থাকলেও সদলবলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই নেতা সাঈদ খোকন ও হাজি মোহাম্মদ সেলিম।
Published : 24 Mar 2015, 11:03 PM
নির্বাচনী বিধান অনুযায়ী পাঁচজনের বেশি ব্যক্তিকে সঙ্গে নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তারা বিধির ‘ফাঁক-ফোকর’র সুযোগ নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন ও যুগ্ম সম্পাদক হাজি সেলিম। তারা দুজনই মেয়র পদপ্রার্থী।
বেলা ১২টার কিছু পরে মনোনয়নপত্র তুলতে মহানগর নাট্যমঞ্চে স্থাপিত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে সাঈদ খোকন।
তার সঙ্গে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজসহ দলের শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এর এক ঘণ্টা পর মনোনয়নপত্র নিতে আসেন সংসদ সদস্য হাজি সেলিম। তার সঙ্গে ছিলেন প্রায় একশ নেতা-কর্মী।
দুজনের মনোনয়নপত্র তুলে পরস্পরের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ করেন, তবে নিজের বিষয়টি দুজনই এড়িয়ে যান।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তাদের মতোই ক্ষমতাসীন দলের নেতা আ জ ম নাছির উদ্দিন সোমবার সদলবলে গিয়ে মনোনয়নপত্র তোলেন।
সে বিষয়ে চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেছিলেন, তার কাছে পাঁচজনের বেশি ব্যক্তিকে কোনো প্রার্থীর নিয়ে আসা বিধিবহির্ভূত। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের বাইরে থাকলে তার কিছু করার নেই।
আইনের ফাঁকের কথা বলেন ঢাকা দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ারও। তিনিও সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি ‘অনৈতিক’ হলেও আপাতত এ বিষয়ে কিছু করার এখতিয়ার নেই কমিশনের।
“আমি ব্যাপারটা শুনেছি, এটা অনৈতিক। কিন্তু বর্তমান নির্বাচন বিধি অনুযায়ী আমাদের এ বিষয়ে সরাসরি ব্যবস্থা গ্রহণের উপায় নেই। তারা নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার ফাঁক-ফোকরের সুযোগ নিয়ে শোডাউন করেছে।”
‘সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালা’ এর তিন নম্বর ধারার ৪ নম্বর উপধারায় বলা আছে, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় কোনো প্রকার মিছিল বা শোডাউন করা যাবে না বা প্রার্থী ৫ (পাঁচ) জনের বেশি সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন না।
নির্বাচনী বিধিমালা ভঙ্গ করলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা ছয় মাসের কারাদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
মিহির বলেন, “বিধিমালায় মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়ের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তারা দুজন এসেছিলেন মনোনয়নপত্র তুলতে।”
তবে প্রার্থীদের প্রচার চালাতে ২১ দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
“২১ দিন আগে কোনো প্রকার প্রচারণামূলক কাজ, মিছিল কিংবা শোডাউন নিষিদ্ধ। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে এই দুজনের (খোকন-হাজি সেলিম) আজকের শোডাউন অনৈতিক।”