প্রধানমন্ত্রী সংলাপে বসলেই কেবল হরতাল-অবরোধসহ সব ধরনের কর্মসূচির অবসান ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, যিনি চিকিৎসার জন্য কয়েকমাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।
Published : 09 Feb 2015, 02:13 PM
রোববার নিউ ইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “কালকেই যদি প্রধানমন্ত্রী সংলাপে আসেন, তাহলেই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে সেই সংলাপ সরাসরি টিভিতে সম্প্রচার হতে হবে।
“সংলাপের পথ ধরে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ সুগম হতে হবে এবং গ্রেপ্তার সব নেতাকর্মীকে বিনা শর্তে মুক্তি দিতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়ের মামলাও প্রত্যাহার করতে হবে। তাহলেই হরতাল-অবরোধসহ যাবতীয় কর্মসূচির অবসান ঘটতে পারে।”
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিনে ঢাকা সমাবেশ করতে না পেরে সারা দেশে লাগাতার অবরোধ ডাকেন।
শুক্রবার দলের আরেক ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ অবরোধ বিষয়ে দলীয় অবস্থান জানিয়ে বলেন, সরকার পদত্যাগ করে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ঘোষণা দিলেই অবরোধ প্রত্যাহারের কথা ভাববে ২০ দলীয় জোট।
জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার সাবেক মেয়র খোকা বলেন, “জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মহল চাচ্ছে অবিলম্বে সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন। বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটেরও একই দাবি।
“কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাই জনমতকে উপেক্ষা করে দেশব্যাপী নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন।”
চলমান সহিংসতার জন্যে বিএনপি-জামায়াত জোটকে দায়ী করে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিভিন্ন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “তিনি (জয়) হচ্ছেন নতুন জেনারেশনের মানুষ এবং বিদেশে লেখাপড়া করেছেন। অবস্থানও করছেন এই আমেরিকাতেই। তবে মাঝেমধ্যে মাকে দেখার জন্যে ঢাকায় যান, এটি খুবই ভাল লক্ষণ। ঢাকায় অবস্থানকালে বিশেষ কিছু কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সময় তিনি কিছু কথা বলেন- যাকে আমি বিবেচনায় নিয়ে তার সমালোচনা করতে চাই না।”
বিএনপিতে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একটি ‘নরমপন্থি’ দল আখ্যায়িত করে খোকা বলেন, “আমরা কখনোই সহিংসতায় বিশ্বাসী নই। সহিংসতা যা হচ্ছে সেজন্য দায়ী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা।”
সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা গিয়াসউদ্দিন।