এখন বিএনপি নেতা-কর্মীরা যে মামলার হয়রানিতে পড়েছে, একদিন সেই পরিণতি আওয়ামী লীগকেও ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
Published : 25 Dec 2014, 04:50 PM
তিনি বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় বলেছেন, “আওয়ামী লীগ সরকার আজ মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের লেফট-রাইট করাচ্ছে। একদিন আসবে, তোমাদেরও আদালতের বারান্দায় জীবন কাটাতে হবে।”
মামলা-হামলা করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগাম নির্বাচন দাবির আন্দোলন ঠেকানো যাবে না বলেও হুঁশিয়ার করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে বুধবার বকশীবাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের আসামি করে মামলার প্রতিক্রিয়ায় এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
“ছাত্রলীগ সভাপতির নেতৃত্বে তাণ্ডব হল, আমাদের ৬ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হল। তারপর শুনলাম আজ আমাদের নেতা-কর্মীদের আসামি করে মামলা হয়েছে!”
বুধবার খালেদার ওপর হামলার পরিকল্পনা হয়েছিল দাবি করে গয়েশ্বর বলেন, “দেশনেত্রী আদালতে যাওয়ার ৯/১০ মিনিট আগে ছাত্রলীগ ও র্যাব-পুলিশ শান্তিপ্রিয় জনগণের ওপর যে তাণ্ডব চালিয়েছে, তা অ্যাটেম্পট টু মার্ডারের পর্যায়ে পড়ে। এই তাণ্ডবের উদ্দেশ্য ছিল দেশনেত্রীর গাড়িবহরে আক্রমণ।”
সরকার ‘জনবিচ্ছিন্ন’ হয়ে পড়ছে বলেই বিরোধী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
ফাইল ছবি
“বিএনপি এখন কিছুই করছে না। এতেই আপনাদের ভয় শুরু হয়ে গেছে। যখন জীবন্ত জনগণ আপনাদের মোকাবেলায় রাস্তায় নামবে, তাদের প্রতিরোধ করার সামর্থ্য ও শক্তি তখন আপনাদের থাকবে না।”
গাজীপুরে খালেদার জনসভা ঠেকাতে ছাত্রলীগের হুমকির জবাবে গয়েশ্বর বলেন, “২৭ ডিসেম্বের আমরা গাজীপুর যাবই। আমরা কারও পৈত্রিক ভিটায় বাস করি না যে গাজীপুরে যেতে পারব না।
“সরকারকে বলতে চাই, গাজীপুরে যাবই। সেখানে আমাদের সমাবেশ করতে না দিলে সেদিন সারাদেশে সমাবেশ হবে। গাজীপুরে রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া হলে সারাদেশে প্রতিরোধ গড়ে উঠবে।”
সরকার আঘাত করলে পাল্টা আঘাত হানার প্রস্তুতি নিতেও দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে স্বাধীনতা ফোরামের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন গয়েশ্বর। ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু, খায়রুল কবীর খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুও বক্তব্য রাখেন।