‘নিয়মের বাইরে গেলে বিএনপিই থাকবে না’

‘নিয়মতান্ত্রিক’ আন্দোলন না করলে বিএনপি ‘নিশ্চিহ্ন’ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “নিয়মতান্ত্রিক পথে হাটলে আপনাদের জন্য মঙ্গল হবে। যদি অনিয়মতান্ত্রিক পথে হাটেন আপনাদের কপালে ভয়াবহ দুর্যোগ আছে। সন্ত্রাসের মোকাবেলা এমনভাবে করা হবে যাতে আপনারা (বিএনপি) নিশ্চিহ্ন হবেন।”

শনিবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামরুল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের এক বক্তব্যের জবাবে বলেন, “বিএনপি হুমকি দিচ্ছে কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলন করে সরকার পতন ঘটাবে। আমি বলতে চাই, ২০১৩ সালের শেষের দিকের মত সহিংস তাণ্ডব করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর থেকে কঠোরতর হবে।”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুক্রবার এক আলোচনা সভায় সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, আস্ফালন করে লাভ হবে না, আন্দোলনে সরকারের পতন ঘটানো হবে।

জনতার প্রত্যাশা নামে একটি সংগঠনের আয়োজনে ওই আলোচনা সভায় কামরুল বিএনপির মধ্যবর্তী নির্বাচনের আশাকে ‘দুঃস্বপ্ন’ আখ্যায়িত করে বলেন, “মধ্যবর্তী নির্বাচনের স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়ন হবে না। সংবিধান অনুযায়ী ২০১৯ সালে নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনও হবে সংবিধান অনুযায়ী।”

সেগুনবাগিচার খাজা নিজামুদ্দিন মিলনায়তনে ‘চলমান রাজনীতি’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ‘জঙ্গিবাদের মুখপাত্র হিসেনে আখ্যায়িত করেন কামরুল।

“বিশ্ববাসী জানে আওয়ামী লীগ সরকার জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে না, যা বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকালীন করেছে। তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন আল-কায়েদার প্রধান জাওয়াহিরি বাংলাদেশ সফর করেছিলেন বলে আমরা মিড়িয়ায় জানতে পেরেছি। আর এ সরকার ক্ষমতায় থাকলে জঙ্গিদের অসুবিধা হয়। তাই তাদের মুখপাত্র হিসেবে বিএনপি সরকার পতনের কথা ও বিষদগার করছে।” 

অনুষ্ঠানে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী পাকিস্তাদের মালালা ইউসুফজাই ও ভারতের কৈলাশকে অভিনন্দন জানান কামরুল।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ সম্পাদক বলরাম পোদ্দার, অরুণ সরকার রানা।