নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি যে ‘বোকামি’ করেছে শিগগিরই তারা তা টের পাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের।
Published : 07 Jan 2014, 02:33 PM
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভায় তিনি বলেন, “বিরোধী দল দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ট্রেন মিস করে যে ভুল করেছে অচিরেই সেটি টের পাবে।”
বিরোধী দলের বর্জনের মধ্যে রোববার যে ভোট হয়েছে, তাতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবারো সরকারে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দুই কূলই হারিয়েছেন।
নির্বাচন ঘিরে ভোটকেন্দ্রে হামলা-সহিংসতার প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি-জামায়াতের এতো সহিংসতা সত্ত্বেও নির্বাচনের ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছে গেছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই- এই ট্রেনের শিডিউল নিয়ে কথা বলে আর লাভ হবে না।”
এখন একাদশ নির্বাচন নিয়ে আলাপ-আলোচনা হতে পারে মন্তব্য করে বিএনপিকে সব নাশকতা ও সহিংসতা পরিহার করার আহ্বান জানান এই আওয়ামী লীগ নেতা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করে এবং নাশকতা বন্ধ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
কাদের বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট নাশকতা বন্ধ না করলে সরকার ‘হার্ডলাইনে’ যেতে বাধ্য হবে।
“বিরোধী দলের আন্দোলন দেখে মনে হয়েছে তারা আর আন্দোলন জমাতে পারবে না। সুতরাং দশম সংসদ নির্বাচনের শিডিউল নিয়ে আন্দোলন করে লাভ নেই।”
দশম সংসদ নির্বাচন করতে দলের যেসব নেতাকর্মী নিরলসভাবে কাজ করেছেন তাদের দল ও সরকারে যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে বলেও কাদের মন্তব্য করেন।
অবশ্য ‘দলের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, এখন নেতা যতো বাড়ছে কর্মী ততো কমছে।”
সমালোচনার সুরে কাদের বলেন, “আজকাল নেতারা পোস্টার লাগাতে লজ্জা পায়। মাইকিং করতে লজ্জা লাগে। এ জন্য যারা পার্ট টাইম আওয়ামী লীগ করেন তারা এটা ভুলে যান।”
আগামী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা সফল করতে দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের এই বর্ধিত সভা হয়।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম ও হাজী মোহাম্মদ সেলিম সভায় বক্তব্য দেন।