সরকারকে সমঝোতায় বাধ্য করতে হরতালের পর অবরোধের মতো কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলন আরো তীব্র করার হুমকি দিয়েছেন বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ।
Published : 08 Nov 2013, 12:54 PM
নির্দলীয় সরকারের দাবিতে দুই সপ্তাহে ছয় দিন হরতালের শেষে শুক্রবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণার আগে তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে সরকারকে এই হুমকি দেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ বলেন, “সরকার যদি সমঝোতার পথে না আসে আন্দোলনের কর্মসূচি তীব্রতর করা হবে। কেবল লাগাতার হরতাল কর্মসূচিতে তা সীমাবদ্ধ থাকবে না।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৯৯৪-৯৫ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াতে আন্দোলনের কথাও তুলে ধরে তিনি বলেন, “ওই সময়ে আপনারা যেসব কর্মসূচি দিয়েছিলেন, তা আমরা ভুলে যাইনি।
“ওই সময়ে আপনারা অসহযোগ, লাগাতার হরতাল, অবরোধসহ যেসব কর্মসূচি দিয়েছিলেন, আমরাও তা দেব।”
বিএনপি নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলন করলেও তা উপেক্ষা করে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের পথে এগোচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
রাজনৈতিক সঙ্কটের আশঙ্কার মধ্যে দুই নেত্রীর মধ্যে এক দফা ফোনালাপ হলেও সংলাপ এগিয়ে যাওয়াও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। নতুন করে উদ্যোগ নিতে দুই দলে পরস্পরকে বলে আসছে।
সরকার সংলাপ এড়াতে চাচ্ছে দাবি করে মওদুদ বলেন, “এখনো সময় আছে, সমঝোতার পথে আসুন। সঙ্কট সমাধানে আলোচনায় বসার উদ্যোগ নিন।”
নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিরোধী দলের আন্দোলনের সময় জনগণকে বিভ্রান্ত করতে সরকার সর্বদলীয় সরকারের কথা বলছে বলে দাবি করেন তিনি।
“সর্বদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার নামে কার্যত ১৪ দলীয় জোট সরকারই গঠন করতে যাচ্ছে তারা। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার এটি তাদের একটি কৌশল মাত্র।”
“নির্বাচনকালীন সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা বলেও সরকার নাটক করছে। বিদ্যমান সংবিধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলে কোনো কিছু নেই।”
তবে সরকারের এই চেষ্টা ব্যর্থ হবে মন্তব্য করে মওদুদ বলেন,“সরকার যত কলা-কৌশলই করুক না কেন, আগামী নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনেই হবে।”
স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে ৭ নভেম্বরের গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মওদুদ।
সংগঠনটির সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলামও বক্তব্য রাখেন।