বিরোধী দলের ‘চরমপত্রের মুখে’ আলোচনার চেষ্টা ফলপ্রসূ হবে বলে মনে করেন না প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
Published : 19 Aug 2013, 11:54 AM
সোমবার ফেইসবুকে নিজের অফিসিয়াল ফ্যান পেইজে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, যাই ঘটুক না কেন, বিরোধী দল শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে বলেই তার বিশ্বাস।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা সংবিধানে যুক্ত করার দাবি জানিয়ে এলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সম্ভাবনা নাকচ করে দেয়ার পরদিন জয়ের এই পোস্ট এলো।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনের পর এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আগামী নির্বাচন হবে। অন্যদিকে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না দাবি করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি সংবিধানে পুনঃস্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি।
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনে যাবে না বলেও হুমকি দিয়েছেন দলটির নেতারা।
রোববার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “জনগণের ভোট নিয়ে সংবিধান সংশোধন করেছি। যা হবে সংবিধান মোতাবেক হবে। একচুলও নড়া হবে না, ব্যাস।”
আদালতের রায় মেনেই যে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনা হয়েছিল- বিরোধী দলকে তা মনে করিয়ে দিয়েছেন জয়।
গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র যা ‘নির্বাচিত’ জনপ্রতিনিধিদের শাসনাধীন। যার অর্থ হলো যেকোন ‘অনির্বাচিত’ সরকার অসাংবিধানিক।”
গত মে মাসে বিরোধী দলের প্রতি শেখ হাসিনার আলোচনার আহ্বান এবং বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার তা প্রত্যাখ্যানের প্রসঙ্গ টেনে জয় লিখেছেন, “অনেক মাস আগে থেকেই আমরা বিরোধীদলের কাছে ‘নির্বাচিত’ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সমঝোতা প্রস্তাব দিয়ে রেখেছি। যাই হোক, আমাদের বিরোধীদল বারবার এই ধরনের যে কোন আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এর পরিবর্তে চরমপত্র দিয়ে যাচ্ছে।
“এই মুহূর্তে আলোচনা ফলপ্রসূ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি না। বিরোধীদল একের পর এক চরমপত্র এবং হুমকি দিয়েই যাচ্ছে, কিন্তু যাই হোক না কেন শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে আসবে।”
গত চার বছর ধরে স্থানীয় নির্বাচনগুলোতেও বিএনপি তাই করেছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতির ছেলে জয়।