বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর দিন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের সমালোচনা করেছেন বঙ্গবন্ধুর নাতি সজীব ওয়াজেদ জয়।
Published : 15 Aug 2013, 11:07 AM
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট হারানো স্বজনদের স্মরণ করে বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক দিবসের সকালে নিজের ফেইসবুক ফ্যান পেইজে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “এটি সত্যিই দুঃখজনক যে খালেদা জিয়া প্রতি বছর এইদিনে তার জন্মদিন পালন করতে পছন্দ করে।”
“বিভিন্ন দাপ্তরিক নথিতে তার (খালেদা) তালিকাভুক্ত ভিন্ন ভিন্ন জন্মদিন আছে, যার কোনটিই ১৫ই অগাস্ট নয়” উল্লেখ করে জয় প্রশ্ন তুলেছেন, “কি ধরনের ব্যক্তি এটি করতে পারে?”
বিএনপির বক্তব্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ৬৯ বছরে পা দিচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তবে তার এ জন্মদিন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।কারণ তার আরো জন্ম তারিখের হদিস পাওয়া যায়।
নব্বইয়ের দশক থেকে খালেদা জিয়া ১৫ অগাস্ট তার জন্মদিন পালন করে আসছেন। আওয়ামী লীগ মনে করে, ‘বিতর্কিত’ এই জন্মদিন পালনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়া দৃশ্যত ১৫ অগাস্ট হত্যাকাণ্ড ‘উদযাপন’ করে থাকেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সপরিবারে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা বিশ্বাস করেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পেছনে খালেদার স্বামী জিয়াউর রহমানের ইন্ধন ছিল।
হারানো স্বজনদের স্মরণ করে বয়সে ছয় বছরের বড় মামা শেখ রাসেলের সঙ্গে খুনসুটির স্মৃতিও তুলে এনেছেন জয়।
“সবচেয়ে পুরনো স্মৃতি হলো আমার রাসেল মামাকে জ্বালানোর স্মৃতিটি। তিনি আমার চেয়ে অল্প কয়েক বছরের বড় ছিলেন এবং আমি তার খেলনা চুরি করে নিতাম এবং দৌড়ে নানীর আড়ালে লুকাতাম।
“তিনি আমার পিছু তাড়া করতেন এবং আমার নানী তাকে ধাতান দিতেন, যা তাকে কাঁদাতো। আমি ছিলাম ৪ বছর বয়সী এবং তিনি ছিলেন ১০ বছরের।”
৩৮ বছর আগে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে প্রাণ হারান তার স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেসা, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, শেখ জামালের স্ত্রী রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ নাসের।
রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালনের জন্য বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি।