নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপির দাবি সরকারি দলের প্রত্যাখ্যানের মধ্যে রোববার মহাজোট নেতা একথা বললেন।
বনানীর কার্যালয়ে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর এরশাদ সাংবাদিকদের বলেন, “আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের বিষয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিএনপি যদি নির্বাচন না করে তা হলে একতরফা নির্বাচন করতে পারে আওয়ামী লীগ।”
“একতরফা নির্বাচন করলে দেশ অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। সে রকম পরিস্থিতি হলে জাতীয় পার্টি এর দায় নেবে না। তাই বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে, তাহলে জাতীয় পার্টিও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।”
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি সংবিধানে পুনঃস্থাপনের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপির হুমকি রয়েছে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না তারা।
তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতারা সংবিধানের বর্তমান ধারা অনুসরণ করেই নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
তবে মহাজোটের সবচেয়ে বড় দলের এই অবস্থানে আপত্তি রয়েছে জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক দলের প্রধান এরশাদের।
গণঅভ্যূত্থানে ক্ষমতাচ্যুত এই সামরিক শাসক বলেন, “কলাবরেটর হয়ে মরতে চাই না।”
সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন হলে জাতীয় পার্টি এককভাবে সেই নির্বাচনে লড়বে বলেও জানান এরশাদ। তিনি আবার বলেন, ‘সময় হলেই’ মহাজোট ছাড়বেন।
বর্তমানে আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী জাতীয় পার্টিকে বিএনপির দিকে ঝুঁকছে বলে সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রওশন এরশাদ।
স্বামী এরশাদের পাশে থাকা রওশন সাংবাদিকদের বলেন, “পত্রিকায় ছাপা হয়েছে, আমরা নাকি বিএনপিতে যোগ দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছি। এটা সত্য নয়।”
তিনিও বলেন, এখন মহাজোটে জাতীয় পার্টি থাকলেও জোট ছাড়ার ঘোষণা নির্বাচনের আগে ‘যথাসময়ে’ জানানো হবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এরশাদের সঙ্গে আরো ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর আহমেদ, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিএম কাদের, কাজী ফিরোজ রশিদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।
এর আগে সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকে ৪০ জন সদস্যের মধ্যে ৩৬ জন উপস্থিত ছিলেন বলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেসসচিব সুনীল শুভ রায় জানিয়েছেন।