জয়ের চেয়ে তারেক এগিয়ে: মওদুদ

প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে রাজনীতিতে স্বাগত জানালেও তারেক রহমানকে নিয়ে তার বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ।

জাতীয় প্রেসক্লাবে শনিবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “জয় আগে বহুবার দেশে এসেছেন। এবার তার কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে, তিনি রাজনীতিতে আসছেন। তাকে আমরা ওয়েলকাম জানাই।”

প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী পুত্র জয় সম্প্রতি দেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় ফেরাতে তার এই সক্রিয়তা।

গ্রেনেড হামলার ঘটনা ধরে তারেককে নিয়ে জয়ের বক্তব্যের সমালোচনা করে মওদুদ বলেন, “তারেক রহমান ২০ বছর আগে সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত হন। আপনি (জয়) এসে তাকে আক্রমণ ও কটাক্ষ করে বক্তব্য রেখেছেন। এটা আপনার উচিৎ হয়নি।

“যদি তারেক রহমান ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়, তারেকই জয়ী হবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। কারণ তারেক রহমান রাজনীতিতে অনেক এগিয়ে আছেন।’’

খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানকে নিয়ে জয়ের বক্তব্যের প্রতিবাদে ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের আলোচনা সভায় একথা বলেন মওদুদ।

প্রেসক্লাবে আরেক আলোচনা সভায় জয়ের প্রতি ইঙ্গিত করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিদেশ থেকে নতুন সেনাপতি এনে সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না।

“পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছে। গাজীপুর যাকে তারা নিজেদের দুর্গ বলে থাকে। সেখানেও এক লাখ ভোটের ব্যবধানে তাদের পতন ঘটেছে।

“এখন ভরাডুবি ঠেকাতে তারা বিদেশ থেকে নতুন সেনাপতি নিয়ে এসেছেন। সরকারের যে পতন শুরু হয়েছে, তা নতুন সেনাপতি দিয়ে ঠেকাতে পারবে না। কারণ নতুন সেনাপতির সঙ্গে দেশের মাটি ও মানুষের সম্পর্ক নেই।”

নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটির উদ্যোগে ‘আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের অন্যায় রিমান্ড ও নাগরিক অধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ফখরুল একথা বলেণ।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, “১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যা করেছিল। এবার তারা ভিন্ন লেবাসে বাকশাল প্রতিষ্ঠার পথে এগুচ্ছে।”

রংপুরের পীরগঞ্জে বুধবার আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।

মাহমুদুর রহমান সরকারের ‘নিপীড়নের’ স্বীকার দাবি করে এর বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজসহ সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ফরহাদ মজহারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য সচিব শওকত মাহমুদ, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, এ্যাব সভাপতি আ ন হ আখতার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন আহমেদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সাধারণ সম্পাদক এম এ কাইয়ুম, এ্যাব সদস্য সচিব প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু প্রমুখ।