ঢাকা, অক্টোবর ০৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (এনসিসি) নির্বাচনে প্রার্থীদের নির্বাচনী খরচ তদারকি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কালো টাকার ব্যবহার বন্ধে প্রথমবারের মতো কোনো নির্বাচনে এ ধরনের কমিটি গঠন করা হলো।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-সচিব (নির্বাচন) মিহির সারওয়ার মোর্শেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এনসিসির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (রাজস্ব) আহ্বায়ক করে পুলিশ সুপার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ইসি ও রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতিনিধি 'নির্বাচনী ব্যয় হিসাব মনিটরিং কমিটিতে' থাকবেন।
"কমিটি মেয়র, সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সিলরদের ওয়ার্ডভিত্তিক নির্বাচনী ব্যয়ের প্রতিদিনের হিসাব প্রতি সপ্তাহ শেষে প্রার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করবে। তা পর্যালোচনা করে অনিয়মের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে", বলেন এ কর্মকর্তা।
এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির অধীনে ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট ও থানার ওসিকে নিয়ে ওয়ার্ডভিত্তিক মনিটরিং সেলও অভিযোগ তদন্ত করবে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৩ হাজার ৭০৬ জন। এ নির্বাচনে মেয়র পদে আট জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৫৬ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। বাছাইয়ে ২৭ কাউন্সিলরের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
১২ অক্টোবর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ভোট হবে ৩০ অক্টোবর।
স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, ভোটার অনুপাতে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন।
এছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থীরা ১৫ হাজার ভোটারের জন্য ১ লাখ টাকা এবং ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার ভোটারসংবলিত ওয়ার্ডের জন্য সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমএইচসি/এএল/১৮১৯ ঘ.