সংলাপ নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই: আইনমন্ত্রী

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির সংলাপ পদ্ধতি নিয়ে ‘বিতর্কের অবকাশ নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Dec 2021, 07:35 AM
Updated : 29 Dec 2021, 10:38 AM

বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন হোক- তা তিনিও চান। কিন্তু এবার সে সময় নেই, আর সংসদকে এড়িয়ে অধ্যাদেশ জারি করতেও তিনি রাজি নন।  

“সেটা সম্ভব না। এই সরকার এই সংসদকে পাশ কাটিয়ে নির্বাচনের কমিশনের যেটা সংবিধান বলে দিচ্ছে আইন করতে, এরকম একটা আইন সংসদকে পাশ কাটিয়ে আমি করতে রাজি না। সে কারণেই, আমি মনে করি, আগামী নির্বাচন…।

“মহামান্য রাষ্ট্রপতি… আপনারা দেখেছেন, তার ডায়ালগ শুরু করে দিয়েছেন। তিনি যেই সিদ্ধান্ত দেবেন সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি মনে করি, আগামী নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। মহামান্য রাষ্ট্রপতির এটা দায়িত্ব।”

নির্বাচন কমিশন গঠনের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির হলেও একটি সুনির্দিষ্ট আইনের মাধ্যমে তা করার বিধান সংবিধানে রয়েছে। ৫০ বছরেও সেই আইন না হওয়ায় গত দুই বার সার্চ কমিটি গঠন করে নামের সুপারিশ নিয়ে ইসিতে নিয়োগ দিচ্ছেন রাষ্ট্রপতি।

এবারও সেই প্রক্রিয়ায় এগিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন রাষ্ট্রপ্রধান মো. আবদুল হামিদ। এখন পর্যন্ত ছয়টি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি। অধিকাংশ দলই ইসি গঠনে আইনের পক্ষে বলেছে।

আবার সংলাপ বর্জন করা বিএনপি আলোচনার এই উদ্যোগকে ‘অর্থহীন নাটক’ আখ্যায়িত করে বলেছে, সমস্যার মূল বিষয় হল ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ ।

সেই প্রসঙ্গ ধরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতিতে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্রাব) বার্ষিক সম্মেলনে বলেন, রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নামের প্রস্তাব নেবেন। এর মাধ্যমে হবে সার্চ কমিটি। সেই সার্চ কমিটি যেসব নাম প্রস্তাব করবে, তাদের মধ্যে থেকে রাষ্ট্রপতি নতুন ইসি গঠন করে দেবেন।  

“কারা এই এই সার্চ কমিটির সদস্য? তারা হচ্ছেন, আপিল বিভাগের একজন সিনিয়র জাস্টিস, হাই কোর্টে বিভাগের একজন জাস্টিস, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান, এবং অডিটর অ্যান্ড কম্পট্রোলার জেনারেল। এরা সবাই সাংবিধানিক পোস্ট হোল্ডার। আর দুই জন হচ্ছে সিভিল সোসাইটি থেকে।

“এইখানে কিন্তু রাজনৈতিক দলের কেউ নেই। সরকারি দলের কেউ নেই। যারা দশজনকে সিলেক্ট করবে এবং যারা নামটা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে। সকলের নাম দেওয়ার অধিকার আছে, ক্ষমতা আছে। ইলেকশন কমিশন গঠন নিয়ে কোনো বিতর্ক করার অবকাশ আছে বলে আমরা মনে হয় না।”

মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় ওয়ার্কার্স পার্টি সংসদের আগামী অধিবেশনে আইনটি করার ব্যাপারে রাষ্ট্রপতিকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানায়।

আইনমন্ত্রী সংসদের গত অধিবেশনে বলেছিলেন, আগামী দুটি অধিবেশনে সংসদে তিনি আইনটি আনতে পারবেন।

আরও পড়ুন-