জনসংহতি সমিতির সদ্য প্রয়াত নেতা আর এস দেওয়ানের স্মরণসভায় বক্তারা বলেছেন, তার কাজ পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগোষ্ঠীর আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করে যাবে।
Published : 28 Jul 2021, 08:22 PM
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির আন্তর্জাতিক মুখপাত্র ড. রামেন্দু শেখর দেওয়ান গত ২৯ মার্চ যুক্তরাজ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
তার স্মরণে বুধবার ভার্চুয়াল স্মরণসভা আয়োজন করে জনসংহতি সমিতি।
সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমার (সন্তু লারমা) পক্ষে শোকবার্তা পাঠ করেন দীপায়ন খীসা।
সন্তু লারমা বলেন, “তার মৃত্যুতে জুম্ম জাতি হারাল এক বিপ্লবী সন্তানকে, আর পার্টি হারাল এক আদর্শবান ও নিঃস্বার্থ বন্ধুকে।”
বাংলাদেশের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের পক্ষে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে সমর্থন আদায়ে আর এস দেওয়ানের অবদান স্মরণ করেন সন্তু লারমা।
জনসংহতি সমিতির সহ সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার বিভাগের সদস্য দীপায়ন খীসার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক জোবাইদা নাসরিন কণা, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম কুমার চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুমন মারমা।
আর এস দেওয়ানকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির সাবেক সভাপতি জ্যোতিপ্রভা লারমা। তার জীবনী পাঠ করেন বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরামের সহ-সভাপতি চন্দ্রা ত্রিপুরা।
ঊষাতন তালুকদার বলেন, “ড. দেওয়ানের ডাকনাম কুলকুসুম। কুল হল গোষ্ঠী, কুসুম মানে প্রস্ফুটিত পুষ্প। এই পুষ্পের সুবাস তিনি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছেন।
“একটা কথা আছে- ‘আউট অব সাইট, আউট অব মাইন্ড’। কিন্তু হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও ড. রামেন্দু শেখর দেওয়ান স্বজাতিকে ভোলেননি।”
আর এস দেওয়ান ১৭ জানুয়ারি ১৯৩২ সালে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে খবংপয্যা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি ১৯৬৭ সালে যুক্তরাজ্যে পাড়ি দেন।
এরপর লন্ডনের কুইন্স এলিজাবেথ কলেজ থেকে এমফিল এবং ১৯৮০ সালে সালফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করেন তিনি।