বিচার বিভাগ ‘স্বাধীনভাবে চলতে পারলে’ এবার খালেদা জিয়ার জামিন হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
Published : 20 Feb 2020, 12:31 PM
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “উচ্চ আদালতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন করা হয়েছে। স্বাধীনভাবে বিচার বিভাগ চলতে পারলে তার জামিন হবে ইনশাল্লাহ। আর না হলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তাকে মুক্ত করা হবে।”
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের মানববন্ধন কর্মসূচি ছিল। কিন্তু পুলিশের বাধায় তা করতে না পেরে নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি নেতা নজরুল।
দুর্নীতি মামলায় দণ্ড মাথায় নিয়ে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গত এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিন্তু সেখানে তার ‘উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না’ অভিযোগ করে হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন খালেদার আইনজীবীরা।
অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় ‘মানবিক কারণে’ খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে ওই আবেদনে বলা হয়, জামিন পেলে তিনি ‘যুক্তরাজ্যের মত উন্নত দেশে’ গিয়ে চিকিৎসা করাতে চান। রোববার ওই আবেদনের ওপর হাই কোর্টে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিনের জন্য এর আগেও হাই কোর্টে আবেদন করেছেন খালেদা জিয়া। কিন্তু অপরাধের গুরুত্ব, সংশ্লিষ্ট আইনের সর্বোচ্চ সাজা এবং বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদাসহ অন্য আসামিদের করা আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুত- এ তিন বিবেচনায় হাই কোর্ট বেঞ্চ গত ৩১ জুলাই সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।
খালেদা জিয়া ‘কোনো অপরাধ করেন নাই’ দাবি করে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের সামনে বলেন, “দেশনেত্রীকে কারাগারে আটক রেখে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া একটা অমানবিক অপরাধ। সেই অপরাধ শুধু সরকারের হবে না, বাংলাদেশকে সেই অপরাধের দায় নিতে হবে। বাংলাদেশ আমাদের সবার, এদেশকে হেয় করার অধিকার কারো নেই।”
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের মানববন্ধনে বাধা দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর একটা প্রোগ্রাম আছে সেই কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদেরকে প্রেস ক্লাবের বাইরে মানববন্ধন করতে দেয়নি। বলা হয়েছে যে, এটা নিষেধ, সরকারের নির্দেশ এখানে কোনো কর্মসূচি করা যাবে না।
“আমরা আইন অমান্য করতে চাইনি। সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আজকের এই কর্মসূচি পরে কোনো এক সময়ে পালন করব।”
অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খান, ফিরোজ-উজ-জামান, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, কেন্দ্রীয় নেতা সালাহউদ্দিন সরকার, মেহেদী আলী খান, আবুল কালাম আজাদ, মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, ফজলুল হক মোল্লা, মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু, কাজী আমির খসরু, জুলফিকার মতিন, মাহবুবুল আলম বাদল, কাজী শাহ আলম রাজা, সুমন ভুঁইয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।