ভোটে থাকছেন জাপার মিলন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী সাঈফুদ্দিন আহমেদ মিলনের ভোটে থাকা না থাকা নিয়ে সংশয় অবশেষে দূর হল; ভোটের মাঠে থাকছেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Jan 2020, 10:51 AM
Updated : 9 Jan 2020, 10:51 AM

ঢাকা সিটি ভোটে মহাজোটভুক্ত অন্যান্য দলগুলোর মতো জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করবে কিনা এ প্রশ্নে দোদুল্যমান ছিল মিলনের ভাগ্য।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার বিকালে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে এক ঘরোয়া বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত আসে- দক্ষিণে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে থাকছেন সাঈফুদ্দিন মিলন।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর কলাবাগানে পার্টির কো চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনা দায়িত্বে থাকা আমির হোসেন আমুর সঙ্গে ‘সমঝোতা’ বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত আসে।

“আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের নির্বাচনী মহাজোট রয়েছে। কিন্তু সেটা জাতীয় নির্বাচনের জন্য। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমরা এককভাবেই প্রার্থী দেব। আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আমাদের তেমন কথাই হয়েছে,” বলেন রাঙ্গাঁ।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের আগে জানিয়েছিলেন, এবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এককভাবে প্রার্থী দেবে।

এরপর দক্ষিণে প্রেসিডিয়াম সদস্য সাঈফুদ্দিন আহমেদ মিলন এবং নবম কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের আগে দলে যোগ দেওয়া সাবেক সেনা কর্মকর্তা জি এম কামরুল ইসলামকে উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে মনোনয়ন দিয়েছিল জাতীয় পার্টি।

কিন্তু জিএম কামরুল ইসলাম ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ভোটার হওয়ায় নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয়, যা পরে আপিল করেও ফেরত পাননি তিনি।

অন্যদিকে দক্ষিণে আওয়ামী লীগের ফজলে নূর তাপসকে সমর্থন দেওয়া হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্তে আটকে ছিল মিলনের ভোটে থাকা না থাকার বিষয়টি।

“আমাদের প্রার্থী সাঈফুদ্দিন আহমেদ মিলন ভোটের মাঠে থাকবেন কি না, এ বিষয়ে আমরা এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। মহাজোটের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়নি এখনও। তারা ডাকেওনি আমাদের। তারা বললে তো আমাদের প্রার্থী সরে দাঁড়াত,” গত মঙ্গলবার এমনটাই বলেছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব রাঙ্গাঁ।

দক্ষিণে জাতীয় পার্টির জয়ের সম্ভাবনা না দেখলেও নেতাকর্মীদের মিলনের পক্ষে কাজ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন মহাসচিব ।

শুক্রবার প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন প্রার্থীরা।

মিলনের হলফনামায় যা আছে

নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলনামার তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ৫৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন (জন্ম ২ মার্চ ১৯৬৫) স্বশিক্ষিত; পেশা ব্যবসা। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।

তার বার্ষিক আয় এক কোটি ৩৬ লাখ টাকার বেশি। আয়ের উৎস বাড়ি ভাড়া, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ভাড়া, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা রয়েছে ৫৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। পরিবহন বাবদ ১৭ লাখ টাকা এবং আসবাবপত্র এক লাখ ৭০ হাজার টাকা ও বীমা রয়েছে ৬৯ লাখ ৩৬ হাজার ৬৮৯ টাকা।

তিন ব্যাংকে মিলনের দুই কোটি ৭৭ লাখ ৭ হাজার ৬০১ টাকার ঋণ রয়েছে। স্ত্রীর নামেও দুই কোটি টাকার ঋণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন হলফনামায়।