যাচাই-বাছাই শেষে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনআইএলজি ভবনে ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।
বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম, বিএনপির তাবিথ আউয়াল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ, সিপিবির আহম্মেদ সাজেদুল হক রুবেল, এনপিপির আনিসুর রহমান দেওয়ান ও পিডিপির শাহীন খান।
রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী জি এম কামরুল ইসলাম সিটি করপোরেশনের ভোটার নন বলে নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে পারেনি।
মেয়রপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা আচরণবিধি মেনে চলবেন। আমরা আগেই বলেছি, নির্বাচন হবে ফেস্টিভ মোডে। সেই জায়গা যাতে কখনই সংঘর্ষে রূপ না নেয়। রাস্তাঘাট বন্ধ করে কোনো রকম প্রচার-প্রচারণা আপনারা চালাতে পারবেন না।
“আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা সক্রিয় আছে, আমি নিজেও মাঠে যাব। নির্বাচন কমিশনের কোনো দল নেই, আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান। শহরের নাগরিকদের যেন কোনো অসুবিধা না হয় তা আপনারা দেখবেন। আচরণবিধি ভঙ্গে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রথমবারের মতো মেয়র পদে লড়তে ইচ্ছুক জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক সেনা কর্মকর্তা কামরুল। নিজেকে বৈধ প্রার্থী দাবি করে আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমি ডিওএইচএস এলাকায় থাকি বলে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হলো। আমার যে ভোটার তালিকা আছে, দুই নম্বর ওয়ার্ড এবং সিটি করপোরেশন দেখানো হয়েছে। সেহেতু আমি যোগ্য ভোটার হিসেবে জমা দিয়েছি। এখন আমি আইনের সহায়তা নেব।”
এবিষয়ে জানতে জাইলে ঢাকা উত্তরের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জিএম কামরুল ইসলাম ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকার ভোটার হওয়ায় সিটি করপোরেশনে তার ভোটাধিকার নেই।
মনোনয়ন বৈধ ঘোষণার পর বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, “বৈধ হিসেবে ঘোষণা দেওয়াটাকে আমার দলের প্রাথমিক বিজয় হিসেবে ধরে নিচ্ছি। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত অনেক তথ্য পেয়েছি। সরকারের অনেক সংস্থাগুলো তড়িঘড়ি করে অনেক চেষ্টা করেছিল খুঁত বের করার। আমাকে ঋণখেলাপি বলে প্রচার করোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা পারেননি।
“আমরা আইন ও প্রচারবিধি মেনেই নির্বাচনি প্রচারে আগাব। আমি আশাবাদী, আগামী দিনগুলোতে নির্বাচন কমিশনে যে অভিযোগগুলো রেখেছি, সেগুলো সংলাপের মাধ্যমে সমাধান হবে।”
ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য আরোপিত জামানতের পরিমাণকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে সিপিবির প্রার্থী সাজেদুল হক রুবেল বলেন, একজন সৎ মানুষের পক্ষে এত টাকা জামানত দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া কঠিন।
“লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড মানে আওয়ামী লীগ আর বিএনপি নয়। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সিপিবির যে লড়াই, জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের যে লড়াই, সেই লড়াইয়ের অংশ হিসেবে সিপিবি লড়ছি এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে।”