অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোয় সরকারকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের অভিনন্দন জানানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
Published : 21 Sep 2019, 08:14 PM
শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে এক প্রশ্নে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিভিন্ন ক্লাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুক্রবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ‘ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতির কল বাতাসে নড়া শুরু হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন।
ওই বক্তব্য উদ্ধৃত করে তথ্যমন্ত্রীর মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের উচিত দেশে যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য সরকারকে অভিনন্দন ও সাধুবাদ জানানো এবং নিজেদের অতীত অপকর্মের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া।
“মির্জা ফখরুল ইসলামের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজে অবৈধভাবে অর্জিত কালো টাকা সাদা করেছিলেন জরিমানা দিয়ে, কোকোর দুর্নীতি ধরা পড়েছে সিঙ্গাপুরে, তারেক রহমানের দূর্নীতির বিরুদ্ধে এফবিআই এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। দুর্নীতির দায়ে তারেক রহমানের দশ বছর সাজা হয়েছে।”
সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, “এতিমখানার জন্য টাকা এসেছে সে টাকা এতিমখানার অ্যাকাউন্টে না রেখে নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে নিয়ে খালেদা জিয়া নিজে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে আজকে জেলখানায় আছেন। যাদের নেতানেত্রী দেশকে দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত করেছিল তাদের তো এনিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকারই নেই।”
তিনি বলেন, “২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে দেশ পরিচালনা করছেন। সে কারণে দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি বা অনিয়ম যেগুলো হচ্ছে সেটির বিরুদ্ধে বর্তমানে ঢাকা শহরে অভিযান চলছে, চট্টগ্রামেও শুরু হয়েছে। দুনীতির বিরুদ্ধে যে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে সেটিরই বহিঃপ্রকাশ। এজন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উচিত ছিল সরকারকে অভিনন্দন জানানো।”
দ্য সিনিয়র সিটিজেন্স সোসাইটি চট্টগ্রাম নামের সংগঠন ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সংগঠনের সভাপতি দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে সংগঠনটির পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এএএম জিয়া হোসাইন, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান শিক্ষাবিদ প্রণব কুমার বড়ুয়া, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, কবি ও লেখক সাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্ত ও উদীচী চট্টগ্রামের সভাপতি লেখক বেগম মুশতারি শফিকে খ্যাতিমান বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক সম্মাননা দেওয়া হয়।