ঢাকার দোহারে নির্বাচনী প্রচার মিছিল থেকে বিএনপির প্রার্থী খোন্দকার আবু আশফাককে আটকের কয়েক ঘণ্টা পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
Published : 12 Dec 2018, 08:36 PM
বুধবার বিকালে আশফাককে নেওয়ার পর রাত ৯টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে দোহার থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান।
বিএনপির অভিযোগ, ‘কোনো কারণ ছাড়াই’ তাদের প্রচার মিছিলে লাঠিপেটা করে প্রার্থীকে ধরে নেয় পুলিশ। অপরদিকে ওসি সাজ্জাদ বলেন, বিএনপি কর্মীরা মিছিল থেকে নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলা করলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিরাপত্তার জন্য বিএনপি প্রার্থীকে থানায় আনা হয়।
খোন্দকার আবু আশফাক বিকালে দোহার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। এ উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা লটাখোলা করম আলীর মোড়ে সমবেত হন। পরে সেখান থেকে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে একটি মিছিল বের হয়ে উপজেলার প্রাণকেন্দ্র জয়পাড়া বাজারসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
তবে ওসি সাজ্জাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিএনপি প্রার্থী খোন্দকার আবু আশফাক তার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে বিশাল শোডাউন করে দোহারের লটাখোলা এলাকা থেকে একটি মিছিল বের করে প্রধান সড়ক দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। সে সময়ে সামনে সড়কের পাশে আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী অবস্থান করছিল।
“পরে বিএনপির কর্মীরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালালে প্রায় ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। ১০ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে এবং বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার পর বিএনপির সমর্থকরা লটাখোলা মোড় ও করম আলী মোড়ে দুটি মোটরসাইকেলে আগুন জ্বালিয়ে নাশকতার চেষ্টা চালালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।”
এ সময় নিরাপত্তার স্বার্থে আবু আশফাককে থানায় আনা হয় এবং নাশকতায় জড়িত কয়েকজনকে আটক করা হয় বলে জানান ওসি।
বিএনপির মোট কতোজনকে আটক করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি সংখ্যা নির্দিষ্ট না করে বলেন, “বিএনপির প্রার্থী আবু আশফাককে আটক করা হয়নি। নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে। পরে রাতে ছেড়ে দেওয়া হয়।”
পুলিশ কর্মকর্তা সাজ্জাদ বিএনপির মিছিল থেকে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর হামলার কথা বললেও স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা বলছেন, ওই সময় সেখানে তাদের দলের কেউ ছিলেন না।
“জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় বিএনপির নেতাকর্মীরা,” বলেন দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুল।