খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ‘নিশ্চিত জয়ের’ প্রত্যয় জানানোর পর আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ‘কালো টাকা ছড়িয়ে ভোট ডাকাতির’ পরিকল্পনা চলছে বলে তার মনে হচ্ছে।
Published : 13 May 2018, 03:00 PM
ভোটের আগে আনুষ্ঠানিক প্রচারের শেষ দিন রোববার নগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের দৌলতপুর এলাকায় গণসংযোগে গিয়ে তিনি বলেন, “উনি যদি নিজেকে মেয়র দাবি করে থাকেন, তাহলে তো উনার দুরভিসন্ধি আছে; উনারা ভোট ডাকাতি করবে, কিংবা কালোটাকা ছড়াইয়া তারা কিছু একটা করবে।
“না হয়, এতো শিওর হয় কীভাবে? এতো কনফার্ম সে কীভাবে হয়, আমি মেয়র হবই? নিশ্চয় তাদের উদ্দেশ্য খারাপ, এই শহরে কালোটাকা ছড়ানোর চেষ্টা তারা করতেছে। অতএব এটা প্রতিহত করা হবে।”
মঙ্গলবার এই সিটি করপোরেশনের নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দেবে খুলনার চার লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন ভোটার। মেয়র পদে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে থেকে একজনকে বেছে নেবেন তারা। এছাড়া ৩১ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের দশটি পদে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।
দলীয় প্রতীকের এ নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
২০০৮ থেকে পাঁচ বছর খুলনার মেয়রের দায়িত্ব পালন করা তালুকদার খালেক ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী বিএনপির মনিরুজ্জামান মনির কাছে হেরে গিয়েছিলেন। এবার বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে তিনি আবারও মেয়র পাদে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তালুকদার খালেক বলেন, “আমি তো মেয়র ছিলাম একসময়। জনগণ যাকে ভোট দিয়ে বানাবে সেই মেয়র হবে। জনগণের উপর আস্থা রাখতে হবে। খুলনার মানুষ ভোট দেবে। আমাদের অসমাপ্ত কাজ করতে সমর্থন দেবে।”
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি সন্তুষ্ট। নির্বাচন কমিশনের এখন পর্যন্ত যে কর্মকাণ্ড, তাতে এখন পর্যন্ত বিতর্কিত কিছু আমার চোখে পড়ে নাই। আমি মনে করি, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের যা যা করণীয় তারা সে কাজটি করেছে। আমি মনে করি, একটু অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এই ব্যবস্থা যথেষ্ট।”
বিএনপির পক্ষ থেকে ‘গণগ্রেপ্তারের’ যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা উড়িয়ে দেন তালুকদার খালেক।
“তাদের কোনো কর্মী মাঠে কাজ করেছে এমন আমার সঙ্গে দেখা হয় নাই। গোপনে গোপনে কাজ করতে পারে, অমূলক সন্দেহটা তারা ২০১৩ সালেও করেছে। এবারও আমি মনে করি, জনগণ তাদের কোনো কথার মূল্য দেবে না।”
রোববার সকালে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের দৌলতপুর ছাড়াও দফাদারপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন নৌকার প্রার্থী তালুকদার খালেক।