নির্বাচন কমিশন সরকারের ‘প্রেসক্রিপশনে’ নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধন করতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
Published : 01 Mar 2018, 10:36 PM
এই উদ্যোগ থেকে সরে আসতে ইসিকে আহ্বান জানিয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, “জাতীয় সংসদের নির্বাচনে (নির্বাচন পূর্ব সময়) ডিজিটাল প্রচারণার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিধান যুক্ত করে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের আচরণ বিধিমালা সংশোধন চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আবারও একটি ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে সরকারি প্রেসক্রিপশনে এগুচ্ছে তারা।
“আচরণ বিধিমালা সংশোধনের নামে একটি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে যে এই কালো আইন তৈরি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার লক্ষ্য হচ্ছে সরকারি কারসাজি আড়াল করতে অবাধ তথ্য প্রবাহের হাত-পা কেটে ফেলা। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিসহ পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে রিজভী বলেন, “আপনারা দেখেছেন যে, ওইসব নির্বাচনে কীভাবে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলার মাধ্যমে ভোট কেন্দ্র দখল, ভোট ডাকাতি, রক্তাক্ত ভোট সন্ত্রাস, বিরোধী দলের প্রার্থী ও সমর্থকদের মনোনয়নপত্র জমা দানে বাধা দেওয়া হয়েছে।
“এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যাতে মানুষের কাছে প্রকাশ না পায়, ভোট কেন্দ্রে ভোটার শূন্য অবলা প্রাণী মার্কার নির্বাচন যাতে দেশ-বিদেশের মানুষ জানতে না পারে, সেজন্যই আওয়ামী লীগ প্রধানের নির্দেশে এই নতুন আইন করা হচ্ছে।”
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন খায়রুল কবির খোকন, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ প্রমুখ।