একাদশ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়ক সরকার গঠন না হলে জনগণ রাস্তায় নামবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
Published : 21 Nov 2017, 04:30 PM
মঙ্গলবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আমাদের দেশনেত্রী উপযুক্ত সময়ে নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা দেবেন। সেই রূপরেখা দেওয়ার পরে আমরা আহ্বান জানাব সরকারকে রূপরেখা মেনে নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য।
“আর যদি সেই পথে না এসে আবার ২০১৪ এর পথে হাঁটেন তাহলে বলতে চাই, জনগণ এবার তা গ্রহণ করবে না। যদি এই সরকার একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে রাজি না হয়, তাহলে সেই দাবি আদায়ের জন্য দেশের জনগণ রাস্তায় নেমে আসবে এবং রাস্তায় সেই দাবি আদায় করেই একাদশ নির্বাচন হবে।”
সকল দলের জন্য এখন থেকেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দাবি জানান মোশাররফ।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
২০ নভেম্বর ছিল তারেকের ৫৩তম জন্মদিন। এদিনই রাষ্ট্রদ্রোহের এক মামলায় তারেকসহ চারজনের বিচার শুরুর আদেশ দেয় ঢাকার একটি আদালত।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, “এই সরকার ১/১১ এর সরকারের মতো চক্রান্ত শুরু করেছে মিথ্যা মামলা দিয়ে। জন্মদিনে তারা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার বিচারের কার্য্ক্রম শুরু করেছে। এ থেকে বোঝা যায়- এই সরকার কী পরিমান তাকে ভয় পায়, কী পরিমান প্রতিহিংসামূলক এই সরকার।”
দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু বলেন, “সরকারকে আমি বলতে চাই, আমাদেরকে যদি মিথ্যা মামলায় সাজা দেন, তার লিস্ট প্রকাশ করে দেন কারা কারা নির্বাচন করতে পারবে না। তারপরে আমাদের দ্বিতীয় সারি তৃতীয় সারির নেতাদের সাথে যদি প্রতিযোগিতা করে নির্বাচনে আপনারা জয়লাভ করে পারেন, ৫০টি আসন পান তাহলে আমরা রাজনীতি ছেড়ে দেব।”
আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
‘তারেকের জনপ্রিয়তার সরকার ভীত ’
তারেক রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে সরকার তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে, বিচার শুরু করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু।
তারেকের জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি বলেন, “আমরা বলতে চাই এসব করে কোনো লাভ হবে না।
“শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের কন্যা আছেন শেখ হাসিনা আর শহীদ জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র হচ্ছেন তারেক রহমান। আসুন না আপনি আপনার সিটে নির্বাচন করেন, তারেক সাহেব তার সিটে নির্বাচন করবেন। রেফারি হবেন অন্যজন। দেখবেন আপনি কত ভোট পান আর আমাদের তারেক সাহেব কত ভোট পান- এটা আমরা আগামী নির্বাচনে দেখতে চাই।”
মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক নাসির হায়দারের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক এস কে সাদীর পরিচালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, তথ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।