বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা হাছান মাহমুদ বলেছেন, তবে সেখানে কোনো হাঙ্গামা করলে জনগণ মেনে নেবে না।
Published : 08 Nov 2017, 03:54 PM
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘পৌর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আইনি কাঠামো ও বর্জ্যজীবীদের জীবন’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
গ্রাম বাংলা কমিটি এবং পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের যৌথ আয়োজনে এই সেমনিআরে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান বলেন, “আগামী ১২ নভেম্বর তারা (বিএনপি) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করলে সরকার অবশ্যই সহযোগিতা করবে।
“খালেদা জিয়া সরকারি পুলিশ প্রহরায় কক্সবাজার গেছেন, তাতে সরকার পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়েছে। সরকারি সার্কিট হাউজ ব্যবহার করেছেন, তাতে সরকার সুযোগ সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যদি কোনো হাঙ্গামা করেন তাহলে জনগণ তা মেনে নেবে না।”
বিএনপি ৭ নভেম্বর তাদের ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’ দিবসের কর্মসূচি হিসেবে পরদিন ৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিল। কমনওয়েথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) সম্মেলন চলায় তা পিছিয়ে ১১ নভেম্বর ও পরে ১২ নভেম্বর সমাবেশের জন্য নতুন আবেদন করা হয়।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি এখনও না পেলেও ‘যথাসময়ে’ সেই অনুমোদন পেয়ে যাবেন বলে বুধবার আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সিপিএ সম্মেলন চলায় ৭ নভেম্বরের কর্মসূচি হিসেবে শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানে কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনেও যেতে পারেনি দলটি। সরকার ইচ্ছা করে সম্মেলনে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে তাদের সেখানে যেতে দেয়নি বলে অভিযোগ বিএনপি মহাসচিবের।
মির্জা ফখরুলের এ অভিযোগে হাছান মাহমুদ বলেন, “সিপিএ সম্মেলনের কারণে তাদের সীমিত সংখ্যক লোকদের যেতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তারা এ প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।
“সিপিএ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের স্পিকার অংশগ্রহণ করেন। তাই এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন এবং অত্যন্ত সম্মানের সম্মেলন। এ সম্মেলনের পাশে যদি হৈ-হুল্লোর হয় বা গণ্ডগোল হয়, সেটি দেশের জন্য সম্মানের নয়।”
এ প্রসঙ্গে অতীতে জিয়ার মাজারে ফুল দিতে গিয়ে বিএনপি নেতাদের নিজেদের মধ্যে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ার প্রসঙ্গ টানেন হাছান।
তিনি বলেন, “আমরা অতীতে দেখেছি বিএনপি যখন জিয়ার মাজারে ফুল দিতে গেছে, তখন তারা নিজেদের মধ্যে মারারমারি করেছে এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া করেছে। গতকাল যদি তারা একই কাজ করতেন, তাহলে সম্মানটা শুধু বিএনপির যেত না সম্মানটা দেশেরও যেত।
“সেই কারণে তাদেরকে সীমিত আকারে যেতে বলা হয়েছিল, কিন্তু তারা সীমিত আকারে যেতে রাজি হননি। তারা আগের মত বড় বড় মিছিল নিয়ে সেখানে যেতে চেয়েছিল। সে কারণেই তারা নিজেরাই যেতে চাননি।”
বিএনপির সমালোচনা করে হাছান বলেন, “বিএনপি যেমন নিজেদের সম্মান রাখতে পারে না, তেমনি তারা দেশের সম্মানও রাখতে পারে না।”
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান নাসের খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে গ্রাম বাংলা কমিটি এবং পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।