২০৩০ সাল লক্ষ্য ধরে বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য যে রূপকল্প বিএনপি হাজির করার কথা বলছে, সেটাকে ‘নতুন ধাপ্পাবাজি’ বলছেন আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম।
Published : 06 May 2017, 06:16 PM
শনিবার রাজধানীতে প্রয়াত নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টারের ত্রয়োদশ শাহাদাৎ বার্ষিকীর স্মরণসভায় তিনি একথা বলেন।
কামরুল বলেন, “আজকে বিএনপি আবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে। খালেদা জিয়া নাকি ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করবেন, এটা নুতন একটা ধাপ্পাবাজি। এই ধাপ্পাবাজি করে জনগণকে আর ভোলানো যাবে না।”
গত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দলের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতনের চিত্র তুল ধরে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা অতীতের বিভীষিকাময় দিনগুলো ভুলিনি। বাংলাদেশের মানুষ আর সেই অবস্থায় ফিরে আসতে চায় না।
“দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। যারা উন্নয়ন থামিয়ে দিতে চায়, যারা জঙ্গিবাদের জন্মদাতা ও মদদদাতা, যারা দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করছে, তাদেরকে কোনো অবস্থাতেই বাংলাদেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না।”
ক্ষমতায় গেলে ২০৩০ সাল নাগাদ বিএনপি বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চায়, তার রূপরেখা ‘ভিশন ২০৩০’ নিয়ে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শিগগিরই সংবাদ সম্মেলনে আসছেন বলে শুক্রবার সাংবাদিকদের জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কামরুল বলেন, “তারা (বিএনপি) লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের নামে সন্ত্রাসীদের অবাধে বিচরণের সুযোগ চাচ্ছে। অন্যদিকে গোপনে ২০১৩-১৪ সালের মতো সন্ত্রাস করার ছক কিন্তু তারা তৈরি করছে।
“আমরা আশা করি এরা (বিএনপি) আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আমরা তাদের সঙ্গে নির্বাচনী খেলা আমরা খেলতে চাই। তারা যদি নির্বাচনে না আসেন তবে তোষামোদ করে নির্বোচনে আনার প্রশ্নই উঠে না।”
আহসান উল্লাহ মাস্টারের সৃতিচারণ করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এই সদস্য বলেন, “একটা বর্ণাঢ্য জীবন আহসান উল্লাহ মাস্টারের; তৃণমূল থেকে উঠে এসেছেন তিনি। মৃত্যুর পরই বুঝা গেছে কত বড় মাপের ও কত বড় নেতা ছিলেন তিনি।”
২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হয়।
এক যুগ আগের ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছে হাই কোর্ট।
জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদের’ সভাপতি আব্দুল বাতেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ও গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান।