গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আবারও পিছিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক হয়েছে।
Published : 08 Jan 2017, 07:26 PM
রোববার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার নতুন দিন ঠিক করে দেন।
এর আগে একই আদালত গত ২৩ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য রোববার দিন ঠিক করেছিলেন।
খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও থানায় গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী।
এই মামলা হওয়ার পরদিনই খালেদা ও কোকোকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছর ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে। পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।
এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদার রিট আবেদনে সাত বছর আগে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। সে সময় জারি করা রুল খারিজ করে গতবছর ৫ অগাস্ট রায় দেয় বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের বেঞ্চ।
মামলার স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয় ওই রায়ে।
এরপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টের ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হলে দুই মাসের মধ্যে খালেদার নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়।
এরপর জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার বিএনপি চেয়ারপারসনকে ১৩ এপ্রিল আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী গত ৫ এপ্রিল ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান খালেদা জিয়া।
আসামি পক্ষের অন্যতম আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান, বোরবার খালেদা জিয়া এবং আমির খসরু মাহমুদের অসুস্থতার জন্য সময়ের আবেদনের পাশাপাশি খন্দকার মোশারফ হোসেন আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তা মঞ্জুর হয়।