১ জুলাই সমাবেশ হবে সব মহানগরে এবং ৩ জুলাই সব জেলা সদরে সমাবেশ করবে বিএনপি।
Published : 26 Jun 2024, 04:24 PM
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায় নিতে ঢাকায় সমাবেশসহ প্রথম দফায় তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী ২৯ জুন বিকাল তিনটায় নয়া পল্টনের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ হবে; ১ জুলাই সোমবার সমাবেশ হবে সারাদেশে মহানগরগুলোয় এবং ৩ জুলাই সারাদেশের জেলা সদরে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করবে বিএনপি।
বুধবার দুপুরে দলের অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে বৈঠক শেষে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফখরুল এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, “বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে আরও বেগবান করা হবে। আমরা এই মুক্তির আন্দোলনকে একটা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমাদের আজকের যৌথ সভায় কয়েকটি সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি।”
হঠাৎ অসুস্থতা বেড়ে যওয়ায় গত শুক্রবার রাতে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করে সিসিইউতে রাখা হয়। এরপর রোববার খালেদা জিয়ার শরীরে পেসমেকার বসানো নয়।
ফখরুল বলেন, “আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। আপনারা জানেন, কিছুদিন পরপরই তাকে হাসপাতালে আসতে হয়। এবার যে তিনি এসছিলেন আল্লাহর অশেষ রহমতে যে তাকে আমরা ফিরে পেয়েছি। তার ফিরে আসার সম্ভাবনা খুব কঠিন ছিল যদি ঠিক সময়ের মধ্যে ডাক্তার চিকিৎসা দিতে না পারতেন।
“এই অবস্থার মধ্যে আমাদের চিকিৎসকরা বার বার বলেছেন, তাকে বাইরে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নেয়া উচিত। কিন্তু সরকার তাকে যেতে দিচ্ছে না। তারা পরিকল্পিভাবে আদালতকে ব্যবহার করে সেটা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। এজন্য বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলন জোরদার করার।”
দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে কারাগারে যেতে হয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। করোনাভাইরাস মহামারীর শুরুতে তার পরিবারের আবেদনে সরকার নির্বাহী আদেশে দুই শর্তে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। শর্ত হল, তাকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
গত তিন বছরে পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে কয়েক দফা অনুমতি চাইলেও ওই শর্তের যুক্তি দেখিয়ে প্রতিবারই তা নাকচ করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে করা হবে বলেও মন্তব্য করেছেন ফখরুল।
“আমরা জনগণের কাছে প্রত্যাশা করব, খালেদা জিয়ার মুক্ত বাতাসে রাজনীতি করার সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য তারা আপ্রাণ চেষ্টা করবে এবং আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে।”
সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফরহাদ হালিম ডোনার, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মীর সরাফত আলী সপু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাইয়েদুল আলম বাবুল, মাহবুবুল হক নান্নু, মনির হোসেন, বেনজীর আহমেদ টিটো, নজরুল ইসলাম আজাদ, তাবিথ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন।