বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ বলেছেন, গুলশান-২ নম্বরের যে বাড়িতে তিনি আছেন সেই বাড়ির মালিকানা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে ‘সঠিক তথ্য’ দেওয়া হয়নি।
Published : 24 Nov 2016, 12:03 AM
বুধবার নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আজকে কিছু কিছু সংবাদপত্রে বেরিয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মামলায় হেরে যাওয়ার পরও কীভাবে তিনি সেই বাড়িতে থাকেন? একনেকের মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেছেন। তিনি বলেছেন যে, আমাকে এখন কেন উচ্ছেদ করা হচ্ছে না।
“প্রধানমন্ত্রী আমার সম্পর্কে বলেছেন সেজন্য আমি ধন্য মনে করছি। প্রধানমন্ত্রীকে সঠিক তথ্য দেওয়া হয়নি। তাকে কিছু ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে।”
বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “তিনি (প্রধানমন্ত্রী) হয়ত জানেন না সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মাধ্যমে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, এই বাড়িটি সরকারের বাড়ি নয়। যদি সরকারের বাড়ি না হয়ে থাকে, তাহলে আমাকে সরকার কীভাবে উচ্ছেদ করবে?
“এই রায়ের মাধ্যমে বলা হয়েছে, এই বাড়ির মালিক হলো-ইনজে মারিয়া প্লাজ, অষ্ট্রিয়ার একজন নাগরিক। অনেক আগে তিনি মারা গেছেন। তার পুত্র সন্তান করীম এফ সুলাইমান। তার ওয়ারিশ এখন এই বাড়ির মালিক। তাদের সঙ্গে আমাদের এখন বোঝাপড়া হবে। তারা যদি উচ্ছেদ করতে চান, তাহলে অবশ্যই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উচ্ছেদের ব্যবস্থা করবেন। সরকারের এখানে কিছু করার নেই।”
ওই বাড়িটি এখন রাজউক নিজেদের তত্ত্বাবধানে নেবে বলে সে সময় জানিয়েছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মওদুদের ভাইয়ের নামে ওই প্লটের বায়না চুক্তিতে তারিখ দেখানো হয়েছিল ১৯৮৫ সালের ১০ অগাস্ট। কিন্তু ওই বাড়ির মালিক অস্ট্রিয়ার নাগরিক ইনজে মারিয়া প্লাজ মারা যান ১৯৮৫ সালের ৩০ মার্চ। অর্থাৎ বায়নানামাটি ছিল ‘জাল’।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গ তুলে আদালতের চূড়ান্ত রায়ে অবৈধ ঘোষণার পরও মওদুদ আহমদ এখনও কীভাবে সেখানে থাকছেন তা জানতে চান বলে একটি দৈনিকের খবর।