নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ডিসেম্বরে একদিনে করার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন।
Published : 13 Jun 2016, 09:34 AM
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের বর্তমান ইসির মেয়াদের এটাই হবে শেষ নির্বাচন।
পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের পর সিটি করপোরেশনে দলীয় প্রতীকেই এটাই হবে প্রথম ভোট।
২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জে এবং ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি কুমিল্লায় ভোট হয়েছিল। ভোটের পর ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ এবং ২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের জনপ্রতিনিধিদের প্রথম সভা হয়।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার সহকারী সচিব রাজীব আহসান বলেন, প্রথম সভা থেকে পরবর্তী ৫ বছর মেয়াদ সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিদের। মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করারও আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এ হিসাবে নারায়ণগঞ্জের ২৬ ডিসেম্বর ও কুমিল্লার আগামী বছর ৮ ফেব্রুয়ারি মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ফলে এ বছরের ২৯ জুন থেকে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে এবং ১২ অগাস্ট থেকে ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কুমিল্লার ভোট শেষ করতে হবে ইসিকে।
“তাই ভোটের জন্য সার্বিক তথ্য কমিশনে উপস্থাপনের জন্য কাজ গুছিয়ে রাখা হচ্ছে,” বলেন রাজীব।
বর্তমান ইসির মেয়াদও শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। তাই এ দুটি সিটির ভোট একসঙ্গে করার কথা ভাবা হচ্ছে।
সর্বশেষ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভোট একদিনে নিয়েছিল ইসি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি: সাধারণ ওয়ার্ড ২৭ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৯। মোট ভোটার ৪০ লাখ ৩ হাজার ৭০৬। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৩ হাজার ৯৬ জন ও নারী ২ লাখ ৬১০ জন।
কুমিল্লা সিটি: সাধারণ ওয়ার্ড ২৭ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৯। ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৭৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৮৩ হাজার ১৯৯ জন ও নারী ৮৬ হাজার ৭৪ জন।
পাঁচ বছর পর এবার এ দু’টি সিটি করপোরেশনের ভোটার সংখ্যা আরও বাড়বে।
২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম ভোট হয়।
“একদিনে দিনে ভোট করার প্রস্তাব থাকবে আমাদের। এতে আইন শৃঙ্খলাসহ নির্বাচন সামগ্রী প্রস্তুতের জন্য সুবিধা হবে।”
জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নির্বাচন কমিশনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইসি সচিবালয়ের প্রস্তাবনা পেলে সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
“এ দুটো সিটি নির্বাচন যাওয়ার আগে ভালোভাবে করতে চাই। যার আগে যাতে কোনো সমালোচনা না হয় সেটাই করবো আমরা। আগেও কিছু করেছি, নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা একসঙ্গে করতে চাই।”
তিনি জানান, বছর শেষে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী ও অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার সূচি বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
জুলাইয়ের ১৮ তারিখ ময়নমসিংহ-১ ও ময়মনসিংহ-৩ আসনের উপ-নির্বাচন রয়েছে। নির্বাচন উপযোগী কিছু ইউপি ও পৌরসভারও ভোট করতে হবে সামনে।
বিধি সংশোধন কাজ শেষ করে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ করে দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে হাত দিতে চায় ইসি।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার একজন কর্মকর্তা বলেন, পরীক্ষা শেষে ডিসেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধকে ভোটের উপযুক্ত বিবেচনা করা যেতে পারে।