বাংলাদেশে কোনো আইএস জঙ্গি নেই বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
Published : 14 Oct 2015, 08:23 PM
বুধবার সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দেশের দুটি স্থানে দুইজন বিদেশি হত্যার পর যারা আইএস সদস্য দাবি করে ইন্টারনেটে বিবৃতি দিয়েছে, তারা বিদেশে নয় দেশের মধ্যেই অবস্থান করছে বলে ইতোমধ্যেই তথ্য পাওয়া গেছে।
“বিদেশিদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করার পরই বিষয়টির প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হবে।”
গত ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশানের কূটনৈতিক পাড়ায় চেজারে তাভেল্লা নামের এক ইতালীয় এনজিওকর্মীকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এর পাঁচ দিনের মাথায় রংপুরের এক গ্রামে একই কায়দায় খুন হন জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি।
দুটি ঘটনার পরই আইএস হত্যার দায় স্বীকার করে বলে খবর দেয় জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ‘সাইট ইন্টিলিজেন্স গ্রুপ’। তবে বাংলাদেশ সরকার সেই দাবি নাকচ করেছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর সোমবার গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানান, আইএসের নামে হত্যার দায় স্বীকারের বার্তা বাংলাদেশ থেকেই ইন্টারনেটে তোলা হয়েছে। পরদিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও গণমাধ্যমে একই কথা বলেন।
পরিদর্শনের সময় শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “চিকিৎসা সেবা একটি মহৎ পেশা। এ পেশায় ভুল করলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। তাই চিকিৎসক ও নার্সদের ফাঁকিবাজির কোনো সুযোগ নেই। সবাইকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ফাঁকিবাজদের কোনো খাতির করা চলবে না।”
সরকার চিকিৎসা ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “এক সঙ্গে ছয় হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। পাশাপাশি একই দিনে দেশে ছয়টি মেডিকেল কলেজের অনুমোদনও বিরল।”
এ সময় বর্তমান যুগকে নারীর ক্ষমতায়নের যুগ হিসেবে অভিহিত করে চিকিৎসা পেশায় নারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ নেতা নাসিম।
শহীদ এম মনসুর আলী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক রেজাউল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় ঢাকার বেসরকারি শহীদ এম মনসুর মেডিকেল কলেজ পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মন্ত্রীপত্নী লায়লা আরজুমান্দ আরা বেগম, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. বিল্লাল হোসেন, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, সিভিল সার্জন ডা. দেবপদ রায় এবং কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নুশরাত জাহান তামান্না বক্তব্য রাখেন।
মতবিনিময় সভার আগে মোহাম্মদ নাসিম কলেজের বিভিন্ন কক্ষ এবং লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও শহীদ এম, মনসুর আলীর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।