"আমাদের বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি, তদন্ত করে দেখছি। এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা বড় রকমের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি," বলেছেন ওবায়দুল কাদের।
Published : 29 Dec 2022, 01:02 PM
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ভরাডুবির পেছনে ‘সাংগঠনিক সমস্যাকেও’ কারণ হিসেবে দেখছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, "আমাদের বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি, তদন্ত করে দেখছি। এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা (রংপুরে) বড় রকমের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি।"
মঙ্গলবার ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বিপুল ভোটে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন।
ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, লাঙ্গল প্রতীকে মোস্তফা পেয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আমিরুজ্জামান প্রার্থী হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রকৌশলী মো. লতিফুর রহমান হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৮৩ ভোট। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া নৌকা মার্কায় ২২ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
রংপুর বরাবরই জাতীয় পার্টির ‘ঘাঁটি’। তাই বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেখানে চতুর্থ অবস্থানে চলে যাবেন- এমন খারাপ অবস্থাও সেখানে দলের নয়। ভোটে এমন ভরাডুবির অনেক কারণের সঙ্গে বেশি আলোচনায় আসছে প্রার্থী মনোনয়নের বিতর্ক।
জামানতহারা ডালিয়া: রংপুরে নৌকার ভুলটা কোথায়?
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেছেন, যারা নির্বাচন করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে কাউকে মনোনয়ন না দিয়ে এমন একজনকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়েছে; যিনি তৃণমূলের কাছে ‘ততটা’ পরিচিত নন। নির্বাচন পরিচালনায় দলের ‘সমন্বয়হীনতাও’ তার জামানত বাজেয়াপ্তের একটি কারণ।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নৌকার প্রার্থীর দুর্বলতা তারা আগে থেকেই জানতেন। তবে ব্যবধানটা তিনিও মানতে পারছেন না।
“জনমত জরিপেই সেখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এগিয়ে ছিল। আমাদের ভেতরে কিছু সমস্যা আছে, নইলে ভোটে এত ব্যবধান হওয়ার কথা নয়।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, "আমরা তো কেউ সেখানে যাইনি। আমরা আগেই জানতাম আমরা পিছিয়ে আছি। এ জন্য আমরা পিছিয়ে আছি বলে এগিয়ে যাওয়ার জোর করে কোনো চেষ্টা করিনি। সেদিক থেকে সেখানে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে বলে আমি মনে করি।"
রাজনীতির মাঠে প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ‘খেলা হবে’ স্লোগান নিয়ে বেশি কিছুদিন ধরেই খেলছেন ওবায়দুল কাদের। রংপুরের হারের পর সেই স্লোগান নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তেরে তিনি বলেন, “খেলা হবে তো এখানে নয়, খেলা হবে নির্বাচনে, আসল, জেনারেল ইলেকশনে। এগুলো কি খেলা? এগুলো স্থানীয় সরকার নির্বাচন।"