অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ বলেছেন, খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তির পর এই মেডিকেল বোর্ড কয়েক দফা বৈঠক করেছেন।
Published : 22 Jun 2024, 11:17 AM
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা চলছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ বলেন, “মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ম্যাডামের চিকিৎসা চলছে। তাকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন চিকিৎসকরা। এর বেশি কিছু বলার নেই।”
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য দেশের মানুষের কাছে দোয়া চেয়েছেন এই চিকিৎসক।
শনিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকদের পরামর্শে খালেদা জিয়াকে দ্রুত এভারকেয়ার হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়।
এ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এই বোর্ডে অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক একিউএম মহসিনসহ ১১ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। এছাড়া লন্ডন থেকে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ চিকিৎসক জোবায়েদা রহমানসহ যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এই বোর্ডে যুক্ত আছেন।
অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ বলেছেন, খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তির পর এই মেডিকেল বোর্ড কয়েক দফা বৈঠক করেছেন।
সর্বশেষ গত ২ মে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে আসেন। ওই সময় চিকিৎসকরা তাকে সিসিইউতে রেখে দুইদিন চিকিৎসা দেন।
এর আগের মাসেও ২ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনকে এ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা অসুস্থতা নিয়ে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই বছরের অক্টোবরে হাই কোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর।
এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরও সাত বছরের সাজা হয় বিএনপি নেত্রীর। তিনি তখনও পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে ছিলেন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদার দণ্ড স্থগিত করেন ছয় মাসের জন্য।
ওই বছরের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানে তার বাড়িতে রয়েছেন। প্রতি ছয় মাস পরপর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে পরিবারের আবেদনে।