গত ১৩ মে প্রতীক বরাদ্দের দিনই মিছিল সমাবেশ করেছিলেন এই প্রার্থী। এর দায় তিনি দিয়েছেন অতি উৎসাহী সমর্থককে।
Published : 20 May 2024, 06:05 PM
নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে কেন প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না- এই প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিতে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাকে আগামী বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ঢাকায় নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।
রিয়াজ উদ্দিন পিরোজপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য শামীম শাহনেওয়াজের ভাই।
উপজেলা নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ মে এই উপজেলায় ভোট হবে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, গত ১৩ মে মঠবাড়িয়ার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। ইসির পক্ষ থেকে ওইদিন প্রার্থীদের সব ধরনের সভা-সমাবেশ করতে নিষেধ করা হয়। কমিশনের আদেশ অমান্য করে মঠবাড়িয়া পৌরসভার সামনে বিশাল মিছিল ও সমাবেশ করেন রিয়াজ।
এ নিয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তাকে কারণ দর্শাতে বললে তিনি লিখিত জবাবে বলেন, কিছু ‘অতি উৎসাহী কর্মী’ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, তার জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
এ জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় এবার তাকে নির্বাচন কমিশনে তলব করা হয়।
সংসদ সদস্য ভাইয়ের মত রিয়াজও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। তার ছোট ভাই আশরাফুর রহমান গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। পরে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতার কারণে আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিএনপির বর্জনের সেই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল নৌকার বিরুদ্ধে প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দিলে শামীম শাহনেওয়াজ স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ তার পাশেই ছিল। জয়ও পান তিনি।
গত ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে আগে আচরণবিধি ভঙ্গ করায় জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। পরে সেই উপজেলায় ভোটও স্থগিত করা হয়।
দ্বিতীয় দফায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় বাতিল হয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জামিল হাসান দুর্জয়ের প্রার্থিতা। ভোটের দুই দিন আগে রোববার হাই কোর্টের আদেশে তিনি সেই প্রার্থিতা ফিরে পান।
ফকিরহাটের ওসি ও ডিবি কর্মকর্তা প্রত্যাহার
দ্বিতীয় ধাপে ভোটের আগে আগে বাগেরহাটের ফকিরহাট থানার ওসি আশরাফুল আলম ও গোয়েন্দা পুলিশের ওসি স্বপন রায়কে ভোট পর্যন্ত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখা হচ্ছে।
তাদেরকে খুলনা রেঞ্জের সংযুক্ত করে অন্য দুই কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজিকে পাঠানো হয়েছে।