“আবারও বলছি, বিএনপিকে থামানোর চেষ্টা করবেন না”, বলেন তিনি।
Published : 16 Nov 2024, 08:53 PM
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আবারও নির্বাচন চেয়ে ‘বিএনপিকে থামানোর চেষ্টা’ না করতে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বলেছেন, বিএনপিকে থামানোর চেষ্টা করলে ‘ধ্বংস হতে হয়।’
শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামে যুবদলের এক কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঘটনাপ্রবাহে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসার দিনটির স্মরণে সমাবেশের পর চট্টগ্রামের বিপ্লব উদ্যান থেকে কালুরঘাট অভিমুখী পদযাত্রার আয়োজন করে যুব সংগঠনটি।
আমীর খসরু বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্রের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের সরকার, তাদের সংসদ দেখতে চায়। এটা বাধাগ্রস্ত করার কোনো সুযোগ নেই।
“বিএনপি এর জন্য বিগত দিনে অনেক ত্যাগ শিকার করেছে, প্রয়োজনে আবার ত্যাগ শিকার করতে আমরা রাজি আছি।”
গত সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলের কথা উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারকেও একটি বার্তা দেন বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, “বিএনপিকে যারা যখনই থামাতে গিয়েছে, তখনই তারা ধ্বংস হয়েছে। বিএনপি কোথায় আর যারা বিএনপিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল তারা আজ কোথায়?
“আবারও বলছি, বিএনপিকে থামানোর চেষ্টা করবেন না।…বিগত দিনগুলোতে আমরা রাজপথে রক্ত দিয়েছি, জেলে গিয়েছি, অনেক নেতাকর্মী হারিয়েছি, অনেক কিছুই হারিয়েছি জীবনে। বিএনপির নেতাকর্মীরা জ্বলে পুড়ে ‘খাঁটি সোনায়’ পরিণত হয়েছে।”
দেশের গণতন্ত্র কেউ কেড়ে নিতে পারবে না বলে মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, “কেউ বলে দিতে পারে না, আগামী দিনের বাংলাদেশের রাজনীতি কী হবে! এ সিদ্ধান্ত দেবে বাংলাদেশের জনগণ। এ সিদ্ধান্ত অন্য কেউ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
জনগণের সিদ্ধান্ত অন্য কেউ দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবও চেষ্টা করেছিলেন, তিনি কি সফল হয়েছেন? এরপর এরশাদ চেষ্টা করেছিল, শেখ হাসিনা চেয়েছিল, তারা কি পেরেছে? তাই সেদিকে না গিয়ে, বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত তাদের দিতে দেন।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘সিম্বল’হিসেবে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ ‘খারাপ কাজ’ করেছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি নেতা বলেন, “বাংলাদেশে গুম, খুন, হত্যা, মামলা, নিপীড়ন, নির্যাতন, লুটপাট, এদেশের মানুষের মানবাধিকার, গণতন্ত্রের অধিকার, আইনের শাসন কেড়ে নেওয়া, বাংলাদেশকে একটি ‘ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে’ পরিণত করা হয়েছে।
“তারা যদি সকলকে স্বীকৃতি দিত, দেশের গণতন্ত্র অব্যাহত রাখত, দেশের মানুষের অধিকারগুলো দিয়ে দিত, ভোটাধিকার দিত, জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার থাকত, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকত, তাহলে এই দুর্ভাগ্য হত না।”
যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের পরিচালনায় কর্মসূচিতে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন, নগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানও বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশের আগে বিপ্লব উদ্যানে রং তুলিতে আঁকা ‘স্বাধীনতার ঘোষণা’ চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।