জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “দেড়শ আসনে ইভিএম না করে তিনশটাতে করতে পারে। কিন্তু মাত্র পাঁচটি করে কেন্দ্রে হবে।”
Published : 24 Aug 2022, 05:37 PM
নির্বাচনে অর্ধেক আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের পরিবর্তে সবকটি আসনে পাঁচটি করে কেন্দ্রে তা বাস্তবায়নের প্রস্তাব দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বুধবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ পাল্টা প্রস্তাব রাখেন তিনি।
আগের দিন নির্বাচন কমিশনের সভায় আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সর্বাধিক দেড়শ আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “দেড়শ আসনে ইভিএম না করে তিনশটাতে করতে পারে। কিন্তু মাত্র পাঁচটি করে কেন্দ্রে হবে। প্রতি আসনে শ’খানেক কেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটিতে ইভিএমে হবে।
“আমরা যুক্তিতর্ক দিয়ে দেখতে পারি। আমার পরামর্শকে সিইসি যুক্তিসঙ্গত মনে করেছেন। বলেছেন, দেখি- কী করে কী করা যায়।”
কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) উদ্দেশে জাফরুল্লাহ বলেন, “দেড়শটাতে ইভিএমে করার সিদ্ধান্ত ভুল কাজ হয়েছে। এর ফলে হয়ত নির্বাচনই হবে না।
“বিএনপিকে আনার চেষ্টা রয়েছে। এই নেগোসিয়েশনের মধ্যে সবাই মনে করে ইভিএম নিয়ে আরেকটা চক্রান্ত। দেড়শটাতে না করে তিনশটাতে হবে; কিন্তু প্রতি আসনে পাঁচটি করে সেন্টারে হবে।”
যদি জনস্বার্থ বিরোধী ‘কিছু হয়’ তাহলে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল পদত্যাগ করবেন বলেও আশা করেন জাফরুল্লাহ।
সংসদ নির্বাচনে সর্বাধিক ১৫০ আসনে ইভিএম, সিদ্ধান্ত ইসির
নতুন ইসি গঠনে সার্চ কমিটির কাছে সিইসি হিসেবে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম প্রস্তাব করেছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
“আওয়ামী লীগের এমন কিছু করা উচিত হবে না যেন অন্যরা ভোটে না আসে”, বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
‘আগ বাড়িয়ে কথা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, “কমিশন খুব কঠিন অবস্থার মধ্যে চলছে। সরকারের উচিত হবে যে করেই হোক কিছুটা গিভ অ্যান্ড টেক করে সুষ্ঠু নির্বাচন করা।
“আজকেও হানিফ (মাহবুব উল আলম) বলেছেন, দেড়শটা নয়, আমরা তিনশটাতে ইভিএম চাই। তাদের উচিত হবে একেবারে চুপ থাকা।
“এখন ইভিএমের কারণে যদি নির্বাচনটাই বন্ধ হয়ে যায়, বয়কট হয়, তাহলে তা জাতির জন্যে দুর্ভাগ্যজনক হবে।”
দায় ইসি-সরকারের
ইভিএম নিয়ে বিরোধিতার কারণে কয়েকটি রাজনৈতিক দল ভোট বয়কট করলে সেই দায় নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, “এটা ইসির ঘাড়ে চাপবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। সরকার যেমন দায়ী হবে, ইসিও দায়ী হবে। আমার মনে হয়, ইসি যে এখানে শতভাগ একমত হয়েছেন তা নয়। ওনারা সরকারি চাপে রয়েছেন। ওনারা ভাবছেন।”
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে সিইসির সাক্ষাতের সময় ভাসানি অনুসারী পরিষদের একদল প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাতে অনিবন্ধিত দলটির পক্ষ থেকে নিবন্ধন শর্ত শিথিল করা, ‘না’ ভোট চালু করা এবং গণ সংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন দেওয়ার অনুরোধ জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী