“বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি বিশেষ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।”
Published : 29 Nov 2024, 06:49 PM
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বলেছেন, ফিলিস্তিনের মানুষ সব সময়ই সংকটের মধ্যে আছে।
ফিলিস্তিন সংহতি দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সিপিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলোচনায় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশকে তার দেশের ‘অকৃত্রিম বন্ধু’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
ইউসুফ রামাদান বলেন, “বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি বিশেষ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সত্তরের দশকের শুরুর দিকে ১৯৭৩ সালে ফিলিস্তিনের জনগণের কাছে চিকিৎসা সামগ্রী পাঠয়েছিল বাংলাদেশ।”
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক বিশেষ কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ফিলিস্তিনের জেরুজালেম শহরকে আন্তর্জাতিক শহরের মর্যাদা দিয়ে ‘ফিলিস্তিন’ ভূখণ্ডকে আরব ও ইহুদি অধ্যুষিত দুটি রাষ্ট্রে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। এর ফলে ফিলিস্তিনের একাংশে ইসরায়েল নামে একটি ইহুদী রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠন তো দূরের কথা, তারা নিজ আদি নিবাস থেকে বিতাড়িত হতে থাকে। তখন থেকে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে আরব ও ইহুদি দ্বন্দ্বের সূত্রপাত, বর্তমানে তা বিশ্ব সংকটের রূপ নিয়েছে।
১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২৯ নভেম্বরকে ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশ করতে 'আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিন সংহতি দিবস' হিসেবে গ্রহণ করে। এর ঠিক ১০ বছর পরে ১৯৮৭ সালের ২৯ নভেম্বর ‘ইউনাইটেড নেশনস পার্টিশন প্ল্যান ফর প্যালেস্টাইন’ প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এরপর থেকেই মূলত এ দিনটি ‘আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিনি সংহতি দিবস’ হিসেবে সারা বিশ্বে পালিত হয়ে আসছে।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এবং দোসর ইসরায়েলকে পরাস্ত করতে হবে। গণহত্যাকারী ইসরায়েলকে জাতিসংঘ থেকে বহিষ্কার এবং আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যায় বিচার করতে হবে। স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ঘোষণা করতে হবে।”
সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, “বিশ্বব্যাপী মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসন বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের মদদে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর যে আগ্রাসন, গণহত্যা পরিচালনা করছে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাই। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের মধ্য দিয়েই এর একমাত্র স্থায়ী সমাধান সম্ভব।”
সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে সংহতি সভায় আরও বক্তব্য দেন দলটির আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান এবং সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীন রহমান, ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি ডা. আবু সাইদ, বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. শাবিদ আক্তার।