“ওরা চট্টগ্রাম দাবি করলে আমরা নবাবের আমলের বাংলা-বিহার, উড়িষ্যা দাবি করতে পারি না?”
Published : 11 Dec 2024, 01:44 PM
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, ভারত গণতান্ত্রিক দেশ হলেও তারা চায় বাংলাদেশসহ আশেপাশের দেশগুলো তাদের ‘কথা শুনে চলুক’।
দিল্লির সাউথ ব্লক ‘বাংলাদেশের মানুষের রক্তের তেজ’ বুঝতে পারেনি’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
বিএনপির তিন সংগঠন-যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের আগরতলার অভিমুখে আখউড়ার পথে লং মার্চ শুরুর আগে নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রিজভী কথা বলছিলেন।
তিনি বলেন, “ওরা (ভারত) নিজেরা গণতান্ত্রিক দেশ কিন্তু ওরা চায় বাংলাদেশকে দিল্লির কথায় চলতে হবে। তারা চায় ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ,শ্রীলংকা তাদের জনগণের কথা চলুক।
“তারা বাংলাদেশের মানুষের রক্তের যে তেজ, তাদের যে আত্মশক্তি, তাদের যে বীরত্ব, তাদের যে পদদীপ্তে এগিয়ে যাওয়ার জোর, এটা দিল্লির সাউথ ব্লক বুঝতে পারেন, কী পরিমাণ তাদের রক্তের ধমনীতে বীরত্বের প্রবাহ চলছে।’’
আগরতলা অভিমুখে ‘যুব দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্র দলে’র লং মার্চ কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন রিজভী।
সকাল ৯টায় নয়া পল্টন থেকে লং মার্চ মার্চ শুরু করে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার নিয়ে কয়েক হাজার নেতা কর্মী এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
“আক্রান্ত হলে আমলকি খাব না’
রিজভী বলেন, “আমাদের এখানে নাকি শান্তিরক্ষী পাঠাবে, ওদের একজন নেতা বলেছেন, তারা চট্টগ্রাম দাবি করবে। ওরা চট্টগ্রাম দাবি করলে আমরা যে নবাবের আমলে জায়গা ছিল, বাংলা-বিহার, উড়িষ্যা দাবি করতে পারি না? মমতা ব্যানার্জী খুব মন খারাপ করেছেন।
‘‘তো আপনারা চট্টগ্রাম দখল করতে আসেন। আমরা কী আমলকি খাবো, আমরা কী চানাচুর খাব? আমরা সেটা খাবো না। আমরাও আমাদের শক্তি, আমাদের তেজ দিয়ে আমার দেশকে রক্ষা করব।”
জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে রিজভী বলেন, “শেখ হাসিনা আদালতের মাধ্যমে জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করেছেন। এটা এখন সাবজুডিস, আদালতে বিচার চলছে। কিন্তু আমার এখানে ব্যক্তিগত অভিমত আছে, বাংলা নামে একটা প্রদেশ আছে ইন্ডিয়ায়, জয় বাংলা বললে তো আমাকে তো মমতার জয় বলা হবে, বাংলাদেশের তো জয় না। পশ্চিম বাংলা একটা প্রদেশ আছে ভারতে, আমাকে একটা প্রদেশের জয় বলতে হবে।
‘‘ আর বাংলাদেশ জিন্দাবাদ…আমার মানচিত্র, আমার আম গাছ, আমার কাঁঠাল গাছ, আমার শীতালক্ষ্য, আমার ধলেম্বরী, আমার পদ্মা-মেঘনা-যমুনার যে বাংলাদেশ সেই বাংলাদেশ আমরা দেখতে পাব।”
সামাবেশে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান ও ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে যুব দলের সভাপতি এম মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান বক্তব্য রাখেন।