মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা চলবে

জরুরি অবস্থার সময় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করে দুদক।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2022, 01:15 PM
Updated : 25 Oct 2022, 01:15 PM

ঘোষিত আয়ের বাইরে সম্পদ থাকার অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেয়।

আদালতে মির্জা আব্বাসের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুর রেজাক খান ও সগীর হোসেন লিয়ন। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান।

২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়কর অধ্যাদেশের ১৬৫ এবং ১৬৬ ধরায় একটি মামলা হয়। সেখানে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা হলফনামা দেওয়ার পাশাপাশি আয়কর কম দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

পরের বছরের ১১ মে বিশেষ আদালতে একটি ধারায় তার ৫ বছর, অপর ধারায় তার তিন বছরের সাজা হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১২ সালের ৮ মার্চ হাই কোর্ট তাকে খালাস দেয়।

Also Read: অবৈধ সম্পদের মামলায় প্রদীপ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

‘জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার’ অভিযোগে ২০০৮ সালের ১৬ অগাস্ট তার বিরুদ্ধে অন্য একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদকের ওই মামলায় সে সময় সাক্ষ্যও শুরু হয়। এর মাঝেই মামলার প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন মির্জা আব্বাস। হাই কোর্টে এই মামলা বাতিল হয়ে যায়।

পরে এর বিরুদ্ধে দুদক আপিলের আবেদন করলে ২০১৫ সালের ৩১ অগাস্ট আপিল বিভাগ হাই কোর্টের রায় বাতিল করে আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দেয়। সেখানে আপিল বিভাগের যুক্তি ছিল, ফৌজদারি মামলা রিটে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।

আইনজীবী সগীর হোসেন লিয়ন বলেন, “দুদকের ওই মামলায় বিচারিক আদালতে ট্রায়াল চলছিল। আপিল বিভাগের রায়ের পর সেটির আবার শুরু হয়। তখন আমরা বিচারিক আদালতে গিয়ে আবেদন করে বলি, যে ফ্যাক্টের উপর এই মামলা চলছে, একই ফ্যাক্টের উপর অন্য একটি মামলায় তার বিচার হয়েছে। তাই এই মামলা চলতে পারে না। আইনের ভাষায় এটাকে বলে ডাবল জিওপার্টি বা দোবারা। ওই দরখাস্ত ট্রায়াল কোর্ট নামঞ্জুর করে।

“পরে হাই কোর্টে আসি। সেখানেও আমাদের আবেদন না মঞ্জুর হয়। এরপর আমরা আপিল বিভাগে যাই। আপিল বিভাগ ২০১৯ সালে নিম্ন আদালতের মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে।”

চূড়ান্ত শুনানির পর এই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হল জানিয়ে লিওন বলেন, “যে করবর্ষগুলোর যেসব বিষয়ে দুদকের মামলায় আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেই করবর্ষগুলোর একই অভিযোগসমূহ আয়করের মামলায়ও ছিল।

“এটা আইনের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একই ঘটনা দুই আইনে অপরাধ হলেও দুইবার সাজা হতে পারে না। রায় হাতে পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই করে আমরা ক্রিমিনাল রিভিউ দায়ের করব।”