“ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলন আলোচনার মাধ্যমে শুরুতেই মীমাংসার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও, কেনো তা প্রলম্বিত করে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেয়া হল,” বিবৃতিতে বলেন সাবেক এমপিরা।
Published : 01 Aug 2024, 06:26 PM
সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনে সহিংসতার পর ‘সন্ত্রাস দমনের নামে ব্লকরেইড ও চিরুনি অভিযান চালিয়ে ‘গণহারে’ গ্রেপ্তার বন্ধের দাবি জানিয়েছে রওশন এরশাদ ও তার অনুসারী জাতীয় পার্টির সাবেক ১৩ জন সংসদ সদস্য।
বৃহস্পতিবার জরুরি এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা বলেন, “শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক ও যৌক্তিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে দমানের জন্য অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। তাদের উপর নিষ্ঠুর নির্যাতন এবং নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।”
এই ‘দমন-পীড়ন’ এবং হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে সই করেন করেন সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, গোলাম সরোয়ার মিলন, রওশনপুত্র রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ, রুস্তম আলী ফরাজী, জিয়াউল হক মৃধা, নুরুল ইসলাম মিলন, ইয়াহ্ হিয়া চৌধুরী, আব্দুল গফ্ফার বিশ্বাস, আবুল কাশেম সরকার, এমএ গোফরান, মামুনুর রশীদ ও মোক্তার হোসেন।
সাবেক সংসদ সদস্যরা বলেন, আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের সঠিক তালিকা প্রকাশ করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলন আলোচনার মাধ্যমে শুরুতেই মীমাংসার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও, কেনো তা প্রলম্বিত করে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেয়া হল? কারা এজন্য দায়ী, তা তদন্তের মাধ্যমে বের করে জাতির সামনে স্পষ্ট করতে হবে।”
অবিলম্বে গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদের নিঃশর্ত মুক্তি, আন্দোলনে ছাত্র-জনতা এবং আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যসহ যারা নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও আহত সবার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবিও জানান সাবেক সংসদ সদস্যরা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলার দাবিও জানান তারা।