সরকারের ‘পতন না হওয়া পর্যন্ত’ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা।
Published : 30 Dec 2022, 07:55 PM
সরকার পতনে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে এলডিপি, ১২ দলীয় জোট এবং জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট আলাদাভাবে ঢাকায় ‘গণমিছিল’ করেছে।
শুক্রবার এসব গণমিছিল থেকে তারা ১১ জানুয়ারি ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে সকাল ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টার গণঅবস্থানের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এদিন বিএনপির গণমিছিল থেকেও একই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
তেজগাঁওয়ে এফডিসির কাছে এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কাছ থেকে অলি আহমদের নেতৃত্বে গণমিছিল করে মগবাজারে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলপূর্ব সমাবেশে অলি বলেন, “এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথের কর্মসূচি চালিয়ে যাব। অবশ্যই সরকারের পতন ঘটানো হবে।”
এ গণমিছিলে এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল আমিন, নেয়ামূল বশির, আওরঙ্গজেব বেলাল, মাহবুব মোর্শেদ, অ্যাডভোটে সাকলাইন ছিলেন।
১২ দলীয় জোটের গণমিছিল হয় ফকিরেরপুল পানির ট্যাংকির কাছে। মিছিলটি পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় দিয়ে পানির ট্যাংকির কাছে এসে শেষ হয়।
এতে জোটের নেতা জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপির আবু তাহের, জাগপার রাশেদ প্রধান, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল করীম, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম ছিলেন।
মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, “এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত ১২ দলীয় জোট আন্দোলন চালিয়ে যাবে, চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।”
‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’র গণমিছিল হয় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে। মিছিলটি পল্টন মোড় ঘুরে আবার প্রেস ক্লাবে এসে শেষ হয়।
এতে নেতৃত্ব দেন এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার খন্দকার লুতফর রহমান, ডিএলের সাইফুদ্দিন মনি, বিকল্পধারার নুরুল আমিন ব্যাপারী, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, গণদলের এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপের শাওন সাদেকী, বাংলাদেশ মাইনরিটি পার্টির সুকৃতি মন্ডল ছিলেন।