মেয়র তাপস বলেন, ১৫ অগাস্টের ঘটনার প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও প্রতিহত করার প্রচেষ্টা সামাল দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।
Published : 19 Aug 2022, 12:22 AM
সাবেক সেনা শাসক জিয়াউর রহমান ১৫ অগাস্টের হত্যাকাণ্ডের দুই দিন আগে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ বা ‘রেকি’ করার অংশ হিসেবে তার বাবা শেখ ফজলুল হক মনির সঙ্গে দেখা করতে তাদের বাসায় গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় জহির রায়হান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৩ অগাস্ট খুনি জিয়াউর রহমান আমাদের বাসায় এসেছিলেন। সেদিন দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে তিনি বাবার সঙ্গে দেখা করে গেছেন। সেদিন জিয়াউর রহমানের আমাদের বাসায় আসার মূল উদ্দেশ্য ছিল, এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আমাদের কাছে কোনও তথ্য আছে কি না, তা অনুমান করা।
“আমরা কোনও কিছু জানি না কি? বাসার পরিস্থিতি কী, আশেপাশের অবস্থা কী? এসব রেকি করার জন্যই সেদিন খুনি জিয়া নিজেই স্বশরীরে আমাদের বাসায় এসেছিলেন।”
নেপথ্যে থেকে শুধু ‘হত্যাকাণ্ড ঘটানো নয়, খুনিদের রক্ষা করাতেও’ জিয়ার ‘মূল ভূমিকা’ ছিল দাবি করে শেখ তাপস বলেন, “কেউ যেন সেই খুনিদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিতে পারে এবং তাদের যে মূল উদ্দেশ্য, তা যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয় সেটা নিশ্চিত করা। সেটাও তিনি সুচারুভাবে সম্পন্ন করেছেন।”
১৫ অগাস্ট হত্যাকাণ্ড পরবর্তী কর্মকাণ্ড ও তৎপরতায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ‘জড়িত থাকার’ ঘটনা তুলে ধরে তাপস বলেন, “১৫ হত্যাকাণ্ডের পরে যারা এ হত্যাকাণ্ডকে বাধা দিতে চেয়েছিল, প্রতিঘাত করতে চেয়েছিল, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেয়েছিল - কর্নেল নুরুদ্দীন ও শাফায়াত জামিলকে আটক করে কর্নেল রশিদ সেদিন জিয়াউর রহমানের কাছে নিয়ে গিয়েছিল।
“খুনের পরবর্তী ঘটনা আরও প্রমাণ করে যে, জিয়াউর রহমান তাদের আস্থার জায়গা ছিল। সাধারণ মানুষের কিংবা সেনাবাহিনীর মধ্যকার যে কোনও ধরনের প্রতিবাদ, প্রতিরোধ এবং প্রতিহত করার যে কোনও প্রচেষ্টা সেদিন জিয়াউর রহমান সামাল দিয়েছিল। সুতারাং এসব তথ্য উপাত্ত প্রমাণ করে যে ১৫ অগাস্ট হত্যাকাণ্ডে খুনি জিয়া ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল।”
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “বঙ্গবন্ধুর খুনিরা আজও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাই মুক্তিযুদ্ধরবিরোধী শক্তি… জামায়াত-বিএনপির সব ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে সবাইকে শপথ নিতে হবে।”
ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের বিচার করার যে বক্তব্য বিএনপি মহাসচিব রাখছেন তার জবাবে তিনি বলেন, “অপকর্মের জন্য আপনাদের নেতা তারেক জিয়ার বিচার হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের মাটিতে বঙ্গবন্ধুর খুনি ও রাজাকারদের বিচার করেছে। তেমনি আপনাদের সব অন্যায়েরও বিচার হবে।”
কৃষিমন্ত্রী বলেন, “নির্বাচনে অংশ না নিয়ে হরতাল, জ্বালাও-পোড়াও আর করতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সাহায্য করবে।”