Published : 17 Feb 2024, 08:04 PM
কারামুক্ত হওয়ার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের চিকিৎসা চলছে ঢাকায় তার গুলশানের বাসায়।
শনিবার বিকালে তিনি শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসক দেখিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার রাজনৈতিক সহকর্মীরা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, “কারাবন্দি অবস্থায় মহাসচিব অসুস্থ ছিলেন। তার ওজন প্রায় ৬ কেজি কমে গেছে এবং বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিয়েছিল।
“আজকে বিকালে উনি স্পেশালাইজড হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানে গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শামসুল আরেফিন উনাকে দেখেছেন, প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপত্র দিয়েছেন।”
ফখরুলের শারীরিক অবস্থা কেমন, এ প্রশ্নের উত্তরে ডা. জাহিদ বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, এখন উনার শারীরিক অবস্থা ভালো। বাসা থেকে উনার চিকিৎসা চলছে। আগামী বৃহস্পতিবার একটি পরীক্ষার জন্য এই হাসপাতালে উনাকে আবার যেতে হবে।”
গত বৃহস্পতিবার ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
জাতীয় নির্বাচনের আগে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে সাড়ে তিন মাস কারাগারে কাটানোর পর গত বৃহস্পতিবার জামিনে মুক্ত হন বিএনপি মহাসচিব।
‘সরকার পতনের’ এক দফা দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। সেদিন দুপুরের আগে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরুর পর কাছেই কাকরাইল মোড়ে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে শান্তিনগর, নয়াপল্টন, বিজয়নগর, ফকিরাপুল, আরামবাগ এবং দৈনিক বাংলা মোড়ে। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।
সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেওয়া হয়, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় আরও ডজনখানেক যানবাহনে। হামলা করা হয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে।
দৈনিক বাংলা মোড়ে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সংঘাতে প্রাণ যায় যুবদলের মুগদা থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা শামীম মোল্লার।
সংঘর্ষের মধ্যে পণ্ড হওয়া সমাবেশ থেকেই পরদিন সারাদেশে হরতালের ডাক দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৯ অক্টোবর সেই হরতালের সকালে গুলশানের বাসা থেকে ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
ওই সংঘর্ষের ঘটনায় ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনাটি ছাড়া সব মামলায় তিনি বিভিন্ন সময়ে জামিন পেয়ে যান। কিন্তু এক মামলায় আটকে থাকায় মুক্তি মিলছিল না।
শেষ পর্যন্ত বুধবার জামিন পাওয়ার পরদিন ঢাকার কেরাণীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্ত হন।