শেখ হাসিনাকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান এবং ওবায়দুল কাদেরকে সদস্য সচিব রেখে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান করা হয়েছে কাজী জাফর উল্লাহকে।
Published : 17 Nov 2023, 08:23 PM
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা জন্য ১৫টি উপ কমিটি গঠিত হয়েছে।
দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সদস্য সচিব রেখে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান করা হয়েছে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহকে।
শুক্রবার তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে দলের এক বিজ্ঞপতিতে জানানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সহযোগী সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
১৫টি উপকমিটির মধ্যে ইশতেহার উপকমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাককে। সদস্য সচিব হয়েছেন তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ।
নির্বাচন সম্পর্কিত আইন সহায়তা বিষয়ক উপ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসূফ হোসেন হুমায়ুনকে। তার সঙ্গে সদস্য সচিব হয়েছেন দলের আইন বিষয়ক সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু।
নির্বাচন কমিশন সমন্বয় বিষয়ক উপ কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ ফারুক খান। কেন্দ্রীয় সদস্য তারানা হালিম হয়েছেন সদস্য সচিব।
দপ্তর বিষয়ক উপ কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া হয়েছেন সদস্য সচিব।
নির্বাচন পর্যবেক্ষক সমন্বয়ক উপ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে অ্যাম্বাসেডর মো. জিয়া উদ্দিনকে। দলের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এ উপ কমিটির সদস্য সচিব।
লিয়াজোঁ উপ কমিটির আহ্বয়কের দায়িত্ব পেয়েছেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. রশিদুল আলম। আর সদস্য সচিব করা হয়েছে সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হককে।
পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ উপ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীকে; তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় সদস্য সানজিদা খানম থাকছেন সদস্য সচিব হিসেবে।
প্রচার ও প্রকাশনা উপ কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী; সদস্য সচিব হয়েছেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।
মিডিয়া বিষয়ক উপ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরকে; সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে করা হয়েছে সদস্য সচিব।
প্রধানমন্ত্রী অর্থ উপদেষ্টা মসিউর রহমান পেশাজীবী সমন্বয় উপ কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন। এ উপ কমিটির সদস্য সচিব হয়েছেন স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা।
আইটি বিষয়ক উপ কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. হোসেন মনসুর; সদস্য সচিব হয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর।
বিদেশি মিশন/সংস্থা বিষয়ক উপ কমিটির আহ্বায়ক থাকছেন অ্যাম্বাসেডর মো. জমির; তার সঙ্গে সদস্য সচিব হয়েছেন শাম্মী আহমেদ।
সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও ক্রীড়া বিষয়ক উপ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে দলের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টুকে; দলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কৃমার উকিল পেয়েছেন সদস্য সচিবের দায়িত্ব।
অর্থ বিষয়ক উপ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদকে। আর সদস্য সচিব করা হয়েছে শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমানকে।
ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন খন্দকার গোলাম মাওলা নকশবন্দী; দলের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম হয়েছেন এ উপ কমিটির সদস্য সচিব।
গত ৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় দলীয় প্রধানকে। আর দলের সাধারণ সম্পাদককে সদস্য সচিব করা হয়। সে সময় কো-চেয়ারম্যানের পদটি খালি ছিল, যা শুক্রবার পূরণ করা হল।
আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের তারিখ রেখে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত, তা বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। তার তিন সপ্তাহ পর হবে ভোটগ্রহণ।
নির্বাচন নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক শিবিরে মতানৈক্যের মধ্যেই বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।