“মাঝখানে ১৫ বছর ওই যোগাযোগটা ছিল না। কারণ ফ্যাসিস্ট সরকার সেটা অ্যালাউ করেনি,” বলেন ফখরুল।
Published : 26 Apr 2025, 11:28 PM
বাংলাদেশে সফররত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার কথা বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে শনিবার রাতে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আজকের বৈঠকটি ছিল চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক। একটা পলিটিক্যাল পার্টির সঙ্গে আরেকটা দেশের পলিটিক্যাল পার্টির মিটিং। আমাদের সঙ্গে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সম্পর্ক অনেক পুরনো।”
আওয়ামী লীগের শাসনের ১৫ বছরে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সর্ম্পকে ভাটা পড়ার কথা তুলে ধরেন ফখরুল। তিনি বলেন, “মাঝখানে ১৫ বছর ওই যোগাযোগটা ছিল না। কারণ ফ্যাসিস্ট সরকার সেটা অ্যালাউ করেনি। এখন আবার সেটা ‘রিভাইভ’ করেছি।
“ফলে চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। আমাদের দুই পার্টির সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে।”
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের পেং জিউ বিনের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে ছিলেন। অন্যরা হলেন- চেন জুয়ানবো, চেন ইয়াংপেই, ঝাং গুইউ। চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ও দূতাবাসের রাজনৈতিক বিভাগের পরিচালক ঝাং জিং এবং লিউ হংরুও বৈঠকে ছিলেন।
অপরদিকে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবীর, মিডিয়া সেলের সদস্য মাহমুদা হাবিবা ও চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার।
বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা, এ প্রশ্নে ফখরুল বলেন, “এটা তো আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আপনি খুব ভালো করে জানেন, চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টি বা চাইনিজ গভর্নমেন্ট তারা অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চায় না। তবে তারা জেনেছে যে, নির্বাচনের ব্যাপারে পরিস্থিতি কী, দেশে বর্তমান পরিস্থিতি কী, আমরা সেটা তাদের ব্রিফ করেছি।”
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে চীনের প্রত্যাশার বিষয়ে তিনি বলেন, “তারা (চীন) সবসময় আশা করে বাংলাদেশে একটা স্ট্যাবিলিটি, একটা শক্তিশালী বাংলাদেশ দেখতে চায়, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় এবং দেশে একটা ডেমোক্রেটিক এনভায়রনমেন্ট দেখতে চায়।”
বৈঠকের পর চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, “চীনা কমিউনিস্ট পার্টির বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের অংশ হিসেবে বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছে। এই বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে।
“আমরা দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করেছি। দুই দলের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কীভাবে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ‘ইট ইজ গুড ডিসকাশন, গুড মিটিং’।”
বিএনপি বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচনের বিষয়ে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তবে এ বিষয়ে কোনো পরামর্শ না দেওয়ার কথা বলেন রাষ্ট্রদূত।