কোটাবিরোধী আন্দোলনের দাবিকে ‘যৌক্তিক ও গণতান্ত্রিক’ বলে বর্ণনা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য।
Published : 11 Jul 2024, 08:52 PM
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলন নিয়ে চলমান তর্ক-বিতর্কে এবার যোগ দিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বললেন, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান রেখে ‘ছোটোখাটো’ কোটা রাখা যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার বিকালে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা দেখেন, প্রত্যেকটি দেশে পিছিয়ে পড়া লোকদের জন্য কিছু কোটা থাকে। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের তৃতীয় প্রজন্মকে যদি তারা পিছিয়ে পড়া লোক মনে করে, তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই। তারপরও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান রেখে ছোটখাটো কোটা রাখা যেতে পারে।”
‘‘বাংলাদেশকে মেধাভিত্তিক দেশ গড়ে তোলা, মেধাভিত্তিক একটা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং আমরা যাতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি- এই রকম ‘অবৈধ’ সরকার এটা চায় কিনা? সেটাই হচ্ছে প্রশ্ন। তারা যদি চাইতো এই খেলাগুলো করত না। একবার (কোটা) দেয়, আরেকবার দেয় না। আবার আদালতের কথা বলে, তারা নিজেরা বলেছে।”
ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় কোটাবিরোধীদের ওপর পুলিশের চড়াও হওয়ার অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে আমীর খসরু বলেন, “এখন আবার তারা (পুলিশ) গোলাগুলি করছে, আহতও হয়েছে শুনলাম। কাদেরকে? আগামী প্রজন্মের নাগরিকদেরকে। যারা আগামী প্রজন্মের বাংলাদেশকে পরিচালিত করবে, যাদের মেধার মাধ্যমে বাংলাদেশ গড় উঠবে, তাদের ওপরে আক্রমণ, হামলা, গুলি চালাচ্ছে তারা।”
“এটা থেকে সেটাই বোঝা যাচ্ছে যে, এখন তাদের একমাত্র লক্ষ্য ক্ষমতায় যাওয়া ও থাকার জন্য যে সহযোগী শক্তিগুলো আছে, তাদের বাইরে আমি মনে করি না তাদের কোনো দায়িত্ব আছে। বাংলাদেশের মানুষ তা মনে করে না।”
কোটাবিরোধী আন্দোলনের দাবিকে ‘যৌক্তিক ও গণতান্ত্রিক’ বলে বর্ণনা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য।
ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিকাল ৪টা থেকে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, এনডিএম ও গণফোরামের নেতাদের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ নেতাদের বৈঠক হয়।
সেখানে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি কীভাবে আবার জোরদার করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে অবহিত করেন আমীর খসরু।
বৈঠকে খসরুর সঙ্গে অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
বাম গণতান্ত্রিক ঐক্যের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির হারুন আল রশিদ, সাম্যবাদী দলের হারুন চৌধুরী, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সামসুল আলম ও সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আবুল কালাম আজাদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এডিএমের বৈঠকে ছিলেন দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, মোমিনুল আমিন, ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম, শাহেদুল আজম, জাবেদুর রহমান জনি ও হুমায়ুন পারভেজ।
গণফোরামের মহাসচিব অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারি, গণফোরামের জগলুর হায়দার আফ্রিক, ফজলুল হক সরকার, মুহাম্মদ উল্লাহ মধু এবং পিপলস পার্টির এআর জাফর উল্লাহ চৌধুরী, হারুনুর রশিদ, আবু তালেব সরদার ও মোশাররফ হোসেন বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন।