আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘বাকশাল-২’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, তাদের আন্দোলন চলবে।
Published : 18 Jan 2024, 08:12 PM
সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা এসেছে বিএনপির তরফে।
দলটির এক আলোচনায় বলা হয়েছে, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলনেও সময় লেগেছিল, হতাশাও এসেছিল। কিন্তু সেই আন্দোলন সফল হয়েছে। আওয়ামী লীগেরও পতন হবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮ তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনায় নেতারা এসব কথা বলেন। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশ বা বিদেশের কোথাও গ্রহণযোগ্য হয়নি বলেও দাবি করেন তারা।
১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়ি গ্রামে জন্ম নেন জিয়াউর রহমান। তার স্মরণে দুই দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি। শুক্রবার ভোরে সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন ও সকাল ১১টায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নানা ঘটনাপ্রবাহে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেন জিয়াউর রহমান। সেনাবাহিনীর প্রধান থাকা অবস্থায় হন রাষ্ট্রপতি। উর্দি পরেই অংশ নেন নির্বাচনে। পরে প্রতিষ্ঠা করেন বিএনপি।
আন্দোলনে বিজয় আসবে উল্লেখ করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘এরশাদ বিরোধী আন্দোলন অনেক দিন লড়াই হয়েছে। অনেকে বিশ্বাসই করতে চায়নি যে, এরশাদের পতন সম্ভব। কিন্তু দেখা গেল ঠিকই পতন হয়েছে। এবারও হবে ইনশাআল্লাহ।
“পাপের ঘরা পূর্ণ হয়ে গেছে। এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। এদেশের গণতন্ত্রের প্রত্যেকটা সূচক নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। রক্ত দিয়ে স্বাধীন দেশের মানুষ এটা পছন্দ করে না, সহ্য করবে না। অনিবার্যভাবে এই স্বৈরশাসনের শাসনের পতন এবং গণতন্ত্রকামী জনতার বিজয় আসবে।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, “আমাদের এই সংগ্রাম গণতন্ত্র ‘পুনরুদ্ধারের’ সংগ্রাম। নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা রাজপথে থেকে সরকারের বন্দুক-বুলেটকে মোকাবিলা করে এই সরকারকে পরাজিত করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।”
বর্তমান সরকারকে ‘বাকশাল-২’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “সরকারের বন্দুক শক্তি, বুলেটের শক্তি, টিয়ার গ্যাসের শক্তি, জল কামানের শক্তি অথবা যত রকমের শক্তি আছে, সব শক্তিকে আমরা পরাভূত করব। এটাই হচ্ছে আজকে আমাদের প্রতিজ্ঞা।”
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বও সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদের সঞ্চালনায় আলোচনায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল আহসানও বক্তব্য রাখেন।