সাকি বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, খেলাপি ঋণ এক লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। বাস্তবে খেলাপি ঋণ চার লাখ কোটি টাকার বেশি।”
Published : 21 May 2024, 05:07 PM
অর্থপাচারকারী এবং ঋণ খেলাপিদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের সমাবেশ করতে দেয়নি পুলিশ।
মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ বাংকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ডেকেছিল গণসংহতি আন্দোলন। সমাবেশ ঠেকাতে সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চারদিক ও মতিঝিল এলাকায় পুলিশ সদস্যদের তৎপর দেখা যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি নিয়ে দলের নেতা-কর্মীরা মিছিল করে আরামবাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে যেতে চাইলে শাপলা চত্বরের উত্তর দিক সংলগ্ন ফুটব্রিজের সামনে তাদের থামিয়ে দেয় পুলিশ।
এসময় পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। বেলা ১টার দিকে পুলিশের বাধা পেয়ে পাশের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে সমাবেশ করে দলটি।
এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, "বাংলাদেশের সব সম্পদ আজ লুট হয়ে যাচ্ছে, ফোকলা হয়ে যাচ্ছে অর্থনীতি। যারা লুটপাট করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তোষণ করা হচ্ছে।"
তিনি বলেন, “ব্যাংক লুটপাটকারী, ঋণখেলাপি আর অর্থপাচারকারীদের নাম আগামী ৩০ জুনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। তাদের তালিকা প্রকাশ করা না হলে সমাবেশ করা হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে।"
সাকি বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, খেলাপি ঋণ এক লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। বাস্তবে খেলাপি ঋণ চার লাখ কোটি টাকার বেশি। আর প্রকৃত খেলাপি ঋণ আরও বেশি। এক ব্যাংকের পরিচালক আরেক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আর ফেরত দেয় না, কিন্তু তাদেরকে খোলাপিও দেখানো হয় না।”
রিজার্ভ নিয়ে তিনি বলেন, “সরকার ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ নিয়ে বড়াই করতে। এখন প্রকৃত রিজার্ভ নেমেছে ১৩ বিলিয়নে ডলারে।"
যারা রপ্তানি করে অর্থ ফেরত আনছেন না, তাদের তালিকা প্রকাশ করার দাবি করে তিনি বলেন, “ব্যাংক বসে পড়লে আমানতকারী আর টাকা ফেরত পাবেন না। বেতন হবে না কর্মীদের। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে এখন দুর্বল ব্যাংক একীভূত করা হচ্ছে। আবার একই ব্যক্তির হাতে একাধিক ব্যাংক দেওয়া হচ্ছে, এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।"
দলটির নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেলের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার ও মনির উদ্দীন পাপ্পু বক্তব্য দেন।