সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভ্রান্ত না হতে কমিটির পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
Published : 21 Dec 2024, 09:20 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে রাজনৈতিক দলের কোনো নাম কিংবা সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
শনিবার সন্ধ্যায় কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে এই দাবি করে বলেছেন, “একটি প্রেস রিলিজে আমরা বিষয়টি সংবাদমাধ্যমগুলোকে জানিয়েছি।”
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘জনশক্তি’ নামে রাজনৈতিক গঠন করার বিষয়ে খবর প্রকাশের বিষয়টি তুলে ধরে জাতীয় নাগরিক কমিটি প্রতিক্রিয়া জানাল।
কমিটির মুখাত্র বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে অনাগত রাজনৈতিক দলের নাম ‘জনশক্তি’ বলে যা শোনা যাচ্ছে তা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের কোনো নাম কিংবা সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়নি।”
তার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বরাতে আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে অনাগত রাজনৈতিক দলের নাম ‘জনশক্তি’। যা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে।
“আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, এ ধরনের কোনো নাম কিংবা সিদ্ধান্ত আমাদের মাঝে আলোচনা হয়নি। সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো যাচ্ছে।”
ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসন অবসানের পর ছাত্রদের রাজনৈতিক দল গঠনের যে আলোচনা তৈরি হয়েছিল, তা অনেকটাই স্থিমিত হয়ে এসেছিল। সাম্প্রতিক সময়ে আবার তা আলোচনায় এসেছে।
ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেছিলেন, তারা একটি নতুন ‘রাজনৈতিক ব্যবস্থা’ চান, সেটি রাজনৈতিক নতুন দল গঠনের পথে এগিয়ে যাবে কিনা, তা আরও পরে ঠিক হবে।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে, সেখানে উপদেষ্টা হিসেবে ছাত্রদের দুজন প্রতিনিধি রয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস তরুণদের নিয়ে রাষ্ট্র গঠনের কথা বলে যাচ্ছেন।
অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক, আখতার হোসেনকে সদস্যসচিব ও সামান্তা শারমিনকে মুখপাত্র করে ৫৫ সদস্যের জাতীয় নাগরিক কমিটি আত্মপ্রকাশ করে গত ৮ সেপ্টেম্বর। এরপর থানা-উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি কমিটি করার কাজ শুরু করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে এলেও অক্টোবরে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে প্রাথমিকভাবে সাংগঠনিক রূপ নেয়। ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা জেলা পর্যায়ে সফরের সফরের পর এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তখনই তাদের নেতৃত্বে দল গঠনের বিষয়টি আলোচনায় আসে।